সম্পর্ককে সব সময়ই নার্সিং করতে হয়

মো. কাউসার ফারুখ | রবিবার , ১৭ জুলাই, ২০২২ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

‘সম্পর্ক’ শব্দটি সব সময় সব মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেয় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। হিমালয়ের মতো উঁচু বা বারমুডা ট্রাইঙ্গেলের গভীরতর অনুভূতি নিয়ে। তবে সেটি বেশীরভাগ সময়ই ইসিজি টেস্টের লেখচিত্রের মতো উঁচুনিচু পথ ধরেই এগোয়, কখনোই সমান্তরাল নয়। সম্পর্ককে সব সময়ই নার্সিং করতে হয়, যত্ন নিতে হয়।

ছোটখাটো ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে তার রসায়ন পরিবর্তন করে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। স্বার্থপরতার গ্লানি বা জবরদখলের আস্ফালন যখন রূঢ়ভাবে গেড়ে বসে তখন সম্পর্কগুলো শীতল হতে থাকে, এভাবেই একসময় জমাটবদ্ধ হয়ে উঠে আমাদের সম্পর্কের সেতু।

পারিবারিক জীবনে মানুষের ভাই-ভাই সম্পর্ক, ভাই-বোন সম্পর্ক, কিংবা রক্তের সম্পর্কের বাঁধন যখন শীতল হতে থাকে তখন বুঝে নিতে হবে আমরা স্বার্থপরতার দেয়ালে আবদ্ধ হয়ে পড়ছি ক্রমশঃ। স্বার্থপরতার জীবনে মানুষ হয়তো খেয়ে পরে প্রতিদিন পার করে, তবে সেটি মানুষের জীবন নয়। সেখানে মানবিকতার বিকাশ নেই, মনুষত্বের চর্চা নেই। সেখানে ভোগ আছে কিন্তু ভোগের তৃপ্তি নেই। তখন সেখানে পশুত্বের জীবনধারা প্রবাহিত হয়।

তাকওয়াবিহীন ইবাদত যেমন আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয় তেমনি মানবিকতা ও মনুষত্ববিহীন জীবনও মানুষের জীবন নয়। এককোষী এ্যমিবা কিংবা বৃহদাকার নীল তিমি সবাই খেয়ে ধেয়ে বেঁচে আছে কিন্তু সৃষ্টির সেরা জীব মানুষও যখন বনের পশুর মতো শুধুই খেয়েধেয়ে বেঁচে থাকাটায় জীবনের লক্ষ্য বলে স্থির করে থাকে তখন বুঝে নিতে হবে আমরা মানুষ হয়েও পশুর সমাজ গড়ে চলেছি। আমাদের উচিৎ পশুত্বের বলয় ভেঙে মনুষ্যত্বের বলয় তৈরি করা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচলনবিলে নৌকা ভ্রমণে অশ্লীলতা বন্ধ হোক
পরবর্তী নিবন্ধআঞ্চলিকতার ঊর্ধ্বে উঠুক মানবতার জয়গান