সমন্বয় করেই উন্নয়ন

অপরিকল্পিত আর কিছু হতে দেওয়া যাবে না : মন্ত্রী তাজুল ।। সন্দ্বীপেও হবে ইকোনমিক জোন ।। চট্টগ্রামের উন্নয়ন শিল্পায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২০ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

সমন্বয়হীনতার কারণে চট্টগ্রামের উন্নয়ন যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে সজাগ থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। গতকাল শনিবার নগরীর আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন, শিল্পায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, উন্নয়নে চট্টগ্রাম পিছিয়ে নেই। তবে আমার মনে একটি কষ্ট আছে। সেটা হলো, আপনারা (সেবা সংস্থাগুলো) একসাথে কাজ করেন না। চট্টগ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত ও অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অ্যান্ড কমার্সসহ সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে যেতে হবে।
চট্টগ্রামকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মীরসরাই থেকে কঙবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। মীরসরাই ইকোনমিক জোনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জোন হবে এশিয়ার সেরা একটি জোন। অনেক দেশ এখানে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। এ জোনে পানি সরবরাহ যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য পানির সকল উৎস যাচাই করা হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে সকল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং নতুন যেসব প্রকল্প নেওয়া হবে সেগুলো অবশ্যই সমন্বয় করে নিতে হবে। সমন্বয়হীনতার কারণে যেন একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে সারা দেশের উন্নয়ন। চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। কিভাবে চট্টগ্রামের আরও উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে সকলের কাজ করা উচিত। চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তৈরি করা হয়েছে আউটার রিং রোড। চসিক প্রশাসক বেশ কিছু ভালো কাজ করেছেন, যা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা সম্ভব।
তাজুল ইসলাম বলেন, মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন ঘিরে অনেক পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ইকোনমিক জোনে সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলেও সুপেয় পানির সমস্যা রয়ে গেছে। পানির সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সরকার। সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হালদা থেকে পানি উত্তোলনের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, হালদা নদী থেকে পানি উত্তোলনের বিষয়টি বিশেষজ্ঞ টিম দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়েছে। তারা মাঠ পর্যায়ে আলোচনা করে রিপোর্ট দিয়েছে, যে পয়েন্ট থেকে পানি উত্তোলন করা হবে তাতে নদীর কোনো সদস্যা হবে না, মৎস্য প্রজননে প্রভাব পড়বে না। বিশেষজ্ঞরা মাঠ পর্যায়ে সকলের সাথে কথা বলেছেন। প্রস্তাবিত মোহরা ফেজ-২ প্রকল্পের জন্য যে সীমিত পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হবে তাতে হালদা নদীতে মৎস্য প্রজনন এবং জীববৈচিত্র্যের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখেই পানি উত্তোলন করা হবে। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ার মতো কাজ করা হবে না।
ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি এবং বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, বহদ্দারহাট থেকে ইপিজেড পর্যন্ত ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের জন্য সিটি কর্পোরেশন একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে। তাতে আমরা সহযোগিতা করব। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে চট্টগ্রাম চেম্বার কোঅর্ডিশন করতে পারে। সবাইকে নিয়ে মাঝে মাঝে বসতে পারে। উন্নয়নের সুফল পাওয়ার জন্য ওয়াসার রাস্তা কাটাকাটি মেনে নিতে হবে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো থেকে রিকশা তুলে দেওয়ার দবি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে রিরশা তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারছি না। এটা আস্তে আস্তে হবে।
তিনি বলেন, শিল্প উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে শ্রমিকদের দক্ষতার উন্নয়ন করতে হবে। দক্ষতার উন্নয়ন ব্যতীত শিল্প উন্নয়ন সম্ভব নয়। চট্টগ্রাম নগরীতে যেসব রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলো অবশ্যই টেকসই হতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে আর কোনো কিছুই নগরীতে হতে দেওয়া যাবে না।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, চট্টগ্রামসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। চট্টগ্রাম-কঙবাজার রেললাইনের কাজ চলছে। কঙবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরের কাজ চলছে। মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ৩৫ হাজার একর জমির এই শিল্প নগরীতে ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। মাদারবাড়িতে মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। সড়ক থেকে নৌপথের খবর অনেক কম। এই বিষয়ে কুমিরা নৌপথটির কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য ২০০৯ সাল থেকে গুরুত্ব দিয়েছে। চট্টগ্রাম তার আগে কী ছিল আর এখন কী অবস্থায় আছে ভেবে দেখুন। চট্টগ্রাম অনেক পাল্টে গেছে। আরো উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, এখন মীরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফেনী ইকোনমিক জোনের কাজ চলছে। সন্দ্বীপেও ইকোনমিক জোন হবে। এই ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একটি পোর্ট যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপানে ১০০টি পোর্ট রয়েছে। ভিয়েতনামে ৪০টি পোর্ট রয়েছে। চট্টগ্রাম পোর্টের পাশাপাশি আরো পোর্ট গড়ে তুলতে হবে। পোর্টের কথা বললেই আমরা চট্টগ্রামের মানুষ আবেগ আক্রান্ত হয়ে পড়ি। এখানে আবেগের কোনো স্থান নেই। চট্টগ্রাম বন্দরকে অবহেলা করে কোনো পোর্ট হবে না।
চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমাদের মন্ত্রী মহোদয়ের জন্ম অন্য জেলায় হলেও উনার মন এই চট্টগ্রামে বাঁধা। আবাসিক এলাকার কারো ঘরবাড়িতে ইন্ডাস্ট্রি হতে পারে না। ইন্ডাস্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় হতে হবে। এই নগরীর সকল উন্নয়ন অবকাঠামো সিটি কর্পোরেশনকে করতে হয়। কিন্তু মেয়রের হাত-পা বাঁধা। ঢাকার মেয়র প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদা। চট্টগ্রামের মেয়র এডিশনাল সেক্রেটারি পদমর্যাদার। চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য সব সেবা সংস্থার মিটিংয়ে বসার কথা রয়েছে। মিটিং আহ্বান করা হলে সিডিএ এবং ওয়াসার প্রধানরা আসলেও অন্যান্য সংস্থার প্রধানরা আসেন না। তারা একজন করে প্রতিনিধি পাঠিয়ে দেন। চট্টগ্রামের প্রায় রাস্তা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির গাড়িগুলো (ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান) দখল করে থাকে।
চট্টগ্রামের আশেপাশের উপজেলাগুলোর সাথে ট্রেন যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি রেলমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলেছি দোহাজারী-নাজিরহাট রুটে আরো ৪টি লোকাল ট্রেন দেওয়ার জন্য। ট্রেন যোগাযোগ বাড়ানো হলে সড়কের উপর চাপ কমবে। চট্টগ্রামের বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। একই সাথে ফয়’স লেক থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত দীর্ঘ লেকগুলোতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর রাস্তার দুই পাশ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরিগুলোর দখলে চলে যাচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার সময় এজন্য সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। চট্টগ্রাম নগরীতে আলাদা ট্রাক ও বাস ট্রার্মিনাল নেই। আলাদা ট্রাক এবং বাস ট্রার্মিনাল খুবই দরকার।
সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ে হয়ে গেলে ২৫ মিনিটে বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে। ইপিজেড থেকে আউটার রিং রোডের কানেকশনটা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা আমরা করে দেব।
বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। একটি উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় সেল করা দরকার। তাহলে উন্নয়নটা ধারাবাহিকভাবে হবে এবং দ্রুত, সুষ্ঠুভাবে হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় নিতে হবে। চট্টগ্রাম অনেক গুরুত্বপূর্র্ণ শহর। চট্টগ্রামের উন্নয়ন শুধু চট্টগ্রামের নয়, এই উন্নয়ন সমগ্র দেশের।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমার কাছে দৃশ্যমান যেটা মনে হয়েছে, সেটা হলো চট্টগ্রামের উন্নয়ন হচ্ছে ব্যাপকভাবে, কিন্তু সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সকল সংস্থার মধ্যে সমন্বয়টা দরকার। তাহলে জনদুর্ভোগ অনেক কম হবে। উন্নয়নও সহজ হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অ্যাডমিন) জাফর আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ৭০ ভাগ পণ্যের ৯৫ ভাগ যায় সড়ক পথে আর অবশিষ্ট ৫ ভাগ যায় ট্রেনে। এখন আমরা নদী পথে পণ্য পরিবহনকে উৎসাহিত করছি। এখন সীতাকুণ্ড এলাকায় কেউ প্রাইভেট জেটি করতে চাইলে আমরা অনুমোদন দেব।
মন্ত্রী কর্ণফুলী নদী নিয়মিত ড্রেজিংয়ের কথা বললে তার জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ হয়নি। ড্রেজিং করতে গিয়ে গার্ভেজের সমস্যার কারণে সিস্টেমটা পরিবর্তন করা হয়েছে। আবার শুরু হবে। এখন আমরা লোকালি করছি। বড় পরিসরে আবার শুরু হবে। বে ট্রার্মিনালের স্টাডি চলছে। জুনে শেষ হবে। মাতারবাড়ি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ২০২৫ সালে ২টি জেটি হবে।
ব্যবসায়ী নেতা এস এস আবু তৈয়ব বলেন, বহদ্দারহাট থেকে ইপিজেড পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা খুবই দরকার। এই এলাকায় ফুটওভার ব্রিজগুলো নির্মিত হলে দুর্ঘটনা কমবে। কমবে মৃত্যুর হারও।
জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে বরিশাল, ভোলা, খুলনার দূরত্ব নদী পথের চেয়ে অনেক বেশি। এই কারণে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, শিল্প উদ্যোক্তাদের ঢাকা কিংবা অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের চেয়ে পণ্য পরিবহন খরচ অনেক বেশি পড়ছে। যার কারণে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদেরকে অসম প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে।
সীতাকুণ্ড শিল্প এলাকার কুমিরা-সন্দ্বীপ ঘাটকে অভ্যন্তরীণ নৌ বন্দর হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সহায়তা চান তিনি। তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টরকে এই বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হলে অল্প সময়ের মধ্যে উক্ত ঘাটে লাইটার জাহাজ হতে পণ্য খালাস করতে পারবে এবং সমগ্র দেশে সীতাকুণ্ড, মীরসরাই শিল্পাঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য কম খরচে স্বল্প সময়ে নিরাপদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছাতে পারবে। এতে করে চট্টগ্রামের জাহাজজট অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
এছাড়া বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান ড. জাহাঙ্গীর আলম, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজজুল্লাহ, চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ওমার হাজ্জাজ, চেম্বার পরিচালক মোহাম্মদ অহীদ সিরাজ চৌধুরী, নাজমুল হক চৌধুরী শারুন, সৈয়দ মো. তানভীর, অধ্যাপক গোলাম কিবরীয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান এহেসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, বিজিএমই পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ ও মাহফুজুল হক শাহ। অনুষ্ঠানে ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যান ড. জাহাঙ্গীর আলম একটি এবং চবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরীয়া হালদা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত আরো ১৮৮
পরবর্তী নিবন্ধ৫ বছর পর পদ্মা অয়েল সিবিএ নির্বাচন