সবকিছুই খোলা! শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া কি যায় না!

শেমু দে | শনিবার , ১৭ জুলাই, ২০২১ at ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলো শিক্ষাব্যবস্থা। এ ক্ষতি পোষাবার নয়। যতই দিন যাচ্ছে ততই ক্ষতির মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাধান একটাই তা হলো সকল শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে স্কুল, কলেজ খুলে দেওয়া হোক। লক্ষ, কোটি শিক্ষার্থীর জীবন এভাবে কি শেষ হয়ে যাবে!! অন্তত সপ্তাহে ১টি শ্রেণির ক্লাস একদিনে করা হোক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এসএসসি, এইচ এসসি পরীক্ষার ঘন ঘন তারিখ পরিবর্তন বা পদ্ধতি পরিবর্তন ব্যবহার করার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে লকডাউন বা শার্টডাউন কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে! যতক্ষণ পর্যন্ত ৮০% মানুষ টিকার আওতায় আসবে না ততক্ষণ পর্যন্ত মহামারি রোধ করা সম্ভব নয় বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। তাহলে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেই সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকবে! এ্যাসাইনমেন্ট বা অটোপ্রমোশন কোন শিক্ষার্থীর মেধা মূল্যায়নের আসল নিয়ামক নয়! স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে আহবান জানানো হয়েছে। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সর্বাগ্রে বর্তমান করোনা মহামারি এ সময় টিকার গুরুত্ব বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের গণটিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি বলে মনে করি। বছরের পর বছর শিক্ষার এমন বেহাল অবস্থা চলানো উচিত হবে না। করোনা মহামারি এতে সহজে শেষ হবে না, এর শেষ কোথায় কেউ জানে না, পৃথিবীর গতি কিন্তু থেমে নেই, সবকিছুই চলমান, বিভিন্ন মাধ্যমে। কিন্তু উন্নত দেশের মতো আমাদের সেই সুযোগ না থাকলেও সীমিত আকারে হলেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে সপ্তাহে ১টি শ্রেণির ক্লাস ১ দিন করলে শিক্ষার্থীর মাঝে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বেগবান হতো। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে আন্তসম্পর্ক বিদ্যমান থাকতো। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা শারিরীক ও মানসিকভাবে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনে মহাসংকট তৈরি হবে। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, এখনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
আশাকরি সংশ্লিষ্ট সকল মহল এবিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হোক প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আঁধার কেটে আলো আসুক। মুক্ত সুনীল পৃথিবী জুড়ে আসুক আনন্দের ঝর্ণা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্ষণমুখর দিনে
পরবর্তী নিবন্ধজলপিপি