দু’চোখ যখন দেখিনা, নিভে আসে মৃদু আলোয় প্রায়
শিশুর কান্না অথবা মায়ের শীতকাটা ও নীরব ঘোঙানি
অনেক দীর্ঘ সংলাপের কাছে যুথবদ্ধ পড়ে আছি নিথর
ওপের রৌদ্রঝলক পিছু নেয় মেঘহীন আকাশের কান্না।
উপনিবেশকাল কেটেছে ক্লান্তিকর সাদামাটা দীর্ঘসময়
চোখে রং নেই, ফ্যাকাসে হলুদ বিবর্ণ চুলে হাঁটে পিতামহ
তাদের জন্য মায়া হয়, কেন শোনালো ব্যার্থ পুরাণ কাহিনী
শুনি ক্রীতদাসবেলা ভাঙা রথের তীর্থমেলায় গড়াগড়ি যায়।
গণহত্যা, গগন বিদারী দীর্ঘশ্বাস রক্ত আঁকরে নীরব কান্না
উদ্গীরিত হীমবাহের জলে নখ আর চোখ ছিড়ে ছিড়ে পড়ে
ভেসে যায় ব্রম্মপুত্রের মরা পিঠে শুকনো শামুকের মতো
তাদের পিছুটান থাকতে নেই, যেন মৃত্যুহীন জীবন্ত কান্না।
কৃষ্ণ গহ্বরে অচেনা মানুষের চলাফেরা টের পাই, তারা কারা
চিনিনি কখনও তা, প্রচন্ড কাঁপুনি দিয়ে জ্বরে গা শির শির
অচেনা ব্যাথার পীড়িত দংশনের ক্ষত উন্মাদের আর্তচিৎকার
অগ্নিলাভায় তছনছ করে দেয় সন্ধ্যাসাগরের নোনা হাওয়া।
ও বন্ধু, ও সুহৃদ আমার এই জমাট অন্ধকার ও কালবেলায়
কে আছো কাছে দেবে নির্ভয় কে বলো বাঁচাবে আমায়।