সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে ভিড়

ঈদবাজার

জাহেদুল কবির | সোমবার , ১ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

জমে উঠেছে ঈদবাজার। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মধ্যরাত পর্যন্ত সেই ভিড় থাকে। পছন্দের পণ্যটি কেনার জন্য ক্রেতারা এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে ছুটছেন। অপরদিকে বেচাবিক্রি বাড়ায় বিক্রেতাদের মুখেও হাসি ফুটেছে। বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় বেচাবিক্রি কিছুটা কম হলেও ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বিক্রি বাড়ছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, এ বছর পোশাকের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

গতকাল সরেজমিনে নগরের টেরীবাজার, নিউ মার্কেট, রেয়াজউদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিশিয়াম, সেন্ট্রাল প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, স্যানমার ওশান সিটি, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমীন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট এবং মতি টাওয়ারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া। বিক্রেতাদের যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। ক্রেতাদের আকর্ষণে বিরতিহীনভাবে বিভিন্ন ধরনের পোশাক এবং পণ্যের কালেকশন দেখিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে সেইসব পণ্য খুঁটিয়ে দেখছেন। বিক্রেতার সাথে দরে দামে মিললে টাকা পরিশোধ করে বাসার দিকে পা বাড়াচ্ছেন।

টেরীবাজারে আসা গৃহিণী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বাচ্চার জন্য গেঞ্জি ও পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। তবে এবার গত বছরের চেয়ে জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি।

দামের বিষয় জানতে চাইলে সাইফুল আলম নামে একজন বিক্রেতা বলেন, পোশাকের আমদানি খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়া বেড়েছে ব্যবসার পরিচালনা ব্যয়। তবে আমরা ক্রেতাদের কাছে ন্যূনতম লাভে পণ্য বিক্রি করে থাকি। নাসিরাবাদ ফিনলে স্কয়ারে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজনিন সুলতানা বলেন, বান্ধবীর সাথে কসমেটিকস কিনতে এসেছি। দুদিন আগে ফিনলে থেকে নিজের জন্য গাউন এবং আম্মুর জন্য সেলোয়ার কামিজ নিয়েছিলাম। সেন্ট্রাল প্লাজায় গৃহিণী নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ঈদের বাকি আর দুই সপ্তাহও নেই। তাই ড্রেস কিনতে এসেছি। সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক ও ঈদ বিক্রয় উৎসব কমিটি সদস্য সচিব মীর নাছির উদ্দিন শিকদার বলেন, আমাদের মার্কেটে বেচাবিক্রি ভালোই হচ্ছে। ঈদ বিক্রয় উৎসবে আমরা ক্রেতাদের জন্য লাকি কূপন এবং অনেক ধরনের আকর্ষণীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছি।

জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন বলেন, মার্কেটে এখন জমজমাট বেচাবিক্রি চলছে। ইফতারের পর থেকে ক্রেতার চাপ বাড়ে। জহুর হকার্স মার্কেটে ক্রেতারা আসে মূলত কম দামে ভালো পণ্যটি কেনার জন্য। আমরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি বলেই ঈদের মৌসুমে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকে এই মার্কেট। আশা করি সামনের দিনগুলোতে বেচাবিক্রি আরো ভালো হবে।

রেয়াজউদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. ছালামত আলী বলেন, মার্কেটে এখন জমজমাট বেচাবিক্রি চলছে। ক্রেতারা সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মার্কেটে ভিড় করছেন। ঈদকে কেন্দ্র করে এ বছর ব্যবসায়ীরাও নতুন নতুন পোশাক নিয়ে এসেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপারকি সৈকতের ঝাউগাছ বাঁচাবে কে
পরবর্তী নিবন্ধঈদের আগে ৫-৭ এপ্রিল শিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা