সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ

শিশুর চোখের ক্যান্সার বিষয়ে সেমিনারে অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন | বৃহস্পতিবার , ২৩ মার্চ, ২০২৩ at ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ

শিশুদের অন্ধত্ব সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় দৃষ্টি ও জীবনকে নিরাপদ করে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক সেমিনার গত ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতালের ইমরান সেমিনার হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনএসবির অবৈতনিক

 

সাধারণ সম্পাদক, সিইআইটিসির ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। রোটারী ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল গ্রান্ট প্রজেক্টের প্রচারনায় এবং বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতি, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্ট (সিইআইটিসি), রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং খুলশী, রোটারী ক্লাব অব মারবুশ

জার্মানীর সহযোগিতায় সেমিনারে অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, চোখের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে আপামর জনসাধারণের কিছু ধারণা থাকলেও চোখের ক্যান্সার নিয়ে অনেকেই সচেতন নন। আর শিশুর চোখের ক্যান্সার অনেকের কাছেই কল্পনাতীত। বিশেষ করে চোখের ক্যান্সার নিয়ে আমজনতার ধারণা খুব

কম। শিশুর চোখের দিকে খেয়াল রাখলে সহজেই রেটিনোব্লাস্টোমা ধরা পড়তে পারে। কারণ, চোখের মণির একেবারে মাঝখানটা সাদা হয়ে যায়। টর্চের আলো ফেললেই চোখের মণির কালো অংশের মধ্যিখানটা যদি সাদা দেখায়, তা হলে বিভ্রান্ত না হয়ে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই বিচক্ষণতা। চোখের

ক্যান্সার শরীরে ছড়িয়ে পড়লে জীবন রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। সেমিনারে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. ফরহাদুল আলম, ডা. সোমা রানী রায়। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রোটারিয়ান রিজোয়ান সাহিদী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. সোমা রানী রায়। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান

ওসমানী। ডা. শায়লা বেগম ও ডা. ফাহমিদা হকের উপস্থাপনায় সেমিনারে রোটারী ক্লবের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ডিস্ট্রিক গভর্ণর রোটারিয়ান রুহেলা খান, ডিস্ট্রিক গভর্ণর ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান, রোটারিয়ান মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ। সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আব্দুল হান্নান, ডা.

ফয়সাল আহমেদ, ডা. নাসিমুল গনি চৌধুরী, রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার নাজুমুল হাসান, রোটারিয়ান মো. মহিউদ্দিন। সেমিনারে বলা হয়, ১৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার শিশুর মধ্যে ১ জনের চোখের ক্যান্সার হতে পারে। সাধারণত ১৩ বছর বয়সের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। এই রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি প্রাথমিক অবস্থায় রোগী সনাক্তকরণ, রোগীর পরিবারের চক্ষু পরীক্ষা এবং নিয়মিত চেকআপও জরুরি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রিমিয়ার ভার্সিটি ও অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের মতবিনিময়
পরবর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে