সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনই প্রত্যাশিত

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

এটি সর্বজনবিদিত যে, ব্যক্তিবস্তুপারিপার্শ্বিক অবস্থান সম্পর্কে সুসংহত ধারণা সমৃদ্ধ মতামত গ্রহণবর্জনের প্রণিধানযোগ্য উপাদান হিসেবে গণমাধ্যমের গতিশীল প্রবাহমানতা মূখ্য প্রপঞ্চ। নাগরিক সমাজের চাহিদার আলোকে বিভিন্ন ধরনের সংবাদমতামতভাষ্যকলামনিবন্ধফিচারের সন্নিবেশ সমাহারে

 

 

 

জনগণকে আঞ্চলিকদেশীয় ও আন্তর্জাতিক চলমান পরিস্থিতির সার্বিক প্রচারণায় জনমতের ব্যাপকতা ও দৈনন্দিন জীবনজীবিকার নীতিপথ নির্ধারণই গণমাধ্যমের নিগূঢ় উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচিত। সুদূর অতীতকাল থেকে সমসাময়িক পর্যায়ে পরিবর্তনশীলতার যৌক্তিক অবয়বে সত্যবস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ

বিচার বিশ্লেষণপ্রকাশ ইত্যাদির সমন্বয়ে সংবাদ মাধ্যমের কলেবর নিত্যনতুন প্রকরণে পাঠকনন্দিতসমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। রাত্রির তপস্যা শেষে দিনের আগমন লগ্নে যাবতীয় জগৎরসদ সম্পর্কে কৌতুহল মিটানোর তাগিদ থেকেই গণমাধ্যম নির্ভরতায় অনিন্দ্য সকালের সার্থকতা প্রতিফলিত। বস্তুতপক্ষে সংবাদ মাধ্যম এবং

সাংবাদিকতা সম্পূরক ও পরিপূরক এবং বহুমাত্রিক অর্থে প্রচলিত প্রত্যয় হিসেবে বিপুল সমাদৃত। গণমাধ্যম বিশেষ করে সংবাদপত্র, বেতার, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ, স্যাটেলাইট সংস্করণ, ফেসবুক, ইন্টারনেটসহ ভিন্নধর্মী ক্রমবর্ধমান উপকরণসমূহ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে কতটুকু জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেতা নিয়ে সমুদিত সংশয় অত্যধিক প্রবল।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে; বৈশ্বিক ও জাতীয় প্রেক্ষাপটে অতিস্বল্পসংখ্যক গণমাধ্যম এবং গুটিকয়েক ব্যক্তি সাংবাদিক মুখোশধারী অপসাংবাদিকতায় লিপ্ত থেকে নানাবিধ অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিহিংসাবিদ্বেষমূলকপ্রতিশোধপরায়ণ হয়রানির নিকৃষ্টপন্থা অবলম্বনে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থে দেশবিধ্বংসী

অপপ্রচারে ব্যতিব্যস্ত রয়েছে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন প্রাক্কালে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ক্যাপশন ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। আমাগো মাছমাংস চাইলের স্বাধীনতা লাগবো’ পাঠে জাতি যারপরনাই উদ্বিগ্ন। দেশের সচেতন মহলসহ সমগ্র

জনগণ ইতিমধ্যে অবাঞ্ছিতঅপাংক্তেয় এই সংবাদ প্রতিবেদন ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছেন। প্রায় প্রতিদিনই উল্লেখ্য সংবাদের প্রতিবাদনিন্দা জ্ঞাপন অতিশয় পরিলক্ষিত। ১ এপ্রিল ২০২৩ পত্রিকাটির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে দেশের ৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে

প্রকাশিত হয়েছে। বিবৃতির বক্তব্য অনুসারে; মহান স্বাধীনতা দিবসে তারা দেশের স্বাধীনতাকে বিদ্রুপ করে একটি ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছেন। গণমাধ্যম একটি সভ্য সমাজের অন্যতম দায়িত্বশীল

প্রতিষ্ঠান। সমাজের সঠিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরাই গণমাধ্যমের কাজ, আর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ জনমানসে গভীর প্রভাব বিস্তার করে বলে সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হয়। বিবৃতিতে প্রতিভাত যে, একটি জাতীয় দৈনিক নৈতিক দায়িত্ব পালনের বিপরীতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর

তথ্য প্রকাশে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করছে। সম্প্রতি উক্ত পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রেক্ষাপটে একজন শিশুর ছবি এবং সেই ছবির নিচে ক্যাপশনের পরিবর্তে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যাপশনে উল্লিখিত বক্তব্য বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে কদর্য

উপহাসের বহিঃপ্রকাশ। অবশ্যই একজনের ছবির ক্যাপশনে অন্য আরেকজনের উদ্ধৃতি প্রকাশ গণমাধ্যমের নৈতিকতা পরিপন্থী। উদ্ধৃতিটির ভাষামান বিবেচনা করলে তা কোনভাবেই দিনমজুরের বক্তব্য বলে মনে হয় না। বরং এটি ঐ দিনমজুরের কন্ঠে পত্রিকাটির সম্পাদকীয় বক্তব্য বলেই প্রতীয়মান হয়। উল্লেখিত

বিবৃতি পাঠে আরও জানা যায়; অন্য একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে সুস্পষ্ট যে ঐ শিশুকে উৎকোচের বিনিময়ে প্রলুব্ধ করে ছবিটি তোলা হয়েছে। বস্তুত এক্ষেত্রে শিশুটিকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে তার অধিকার ও মর্যাদা ক্ষ্নণ্ন করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে চলমান অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতির

সুযোগ নিয়ে বানোয়াট ছবি ও বক্তব্যের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার একটি কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে মহান স্বাধীনতাকে যেভাবে বিদ্রুপ করা হয়েছে, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

২ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় বলা হয়, শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদপত্রের কাছে এ ধরনের অপেশাদার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। যা খুবই দুঃখজনক। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পত্রিকাটির কাছে সবাই

দায়িত্বশীলতা আশা করে। এছাড়া কমিটি সাংবাদিকদের উপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহারে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। সাংবাদিক বা সংবাদ মাধ্যমের বেলায় এই আইন প্রয়োগের আগে উত্থাপিত অভিযোগটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রেস কাউন্সিলে পাঠানোর প্রয়োজন ছিল বলে কমিটি মন্তব্য করেছেন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইইজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) পত্রিকাটির দায়িত্বহীন এবং অপেশাদারী সাংবাদিকতার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গভীর উৎকন্ঠা প্রকাশ করে জানান, গত ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবসে একজন শিশুর ছবির সঙ্গে ভিন্ন একজনের বক্তব্য

সংযোজন করে যে ছবি কার্ড প্রচার করা হয় সেটি সেই সংবাদপত্রের সম্পাদক বার্তা কক্ষের পেশাদারী ব্যর্থতার বড় দৃষ্টান্ত। সেই ছবি কার্ডটি দ্রুত প্রত্যাহার করা হলেও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কাজটি হয়েই গেছে। শিশুর সঙ্গে ভিন্ন পরিচয়ের ব্যক্তির উদ্ধৃতিটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি ও ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে

করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। শিশুটিকে সাংবাদিকের আর্থিক সাহায্য দেয়া এবং তাকে সাংবাদিকতার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টিও পেশাদারী সাংবাদিকতার দিক থেকে গ্রহণযোগ্য নয়। সংস্থা দুটি আরও জানায়, ঐ সংবাদ পরিবেশনে উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ১২টি দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ

প্রকাশ্যে যৌথ বিবৃতি প্রদান করে যা অনভিপ্রেত বলে মনে করে সাংবাদিক ইউনিয়ন। সাংবাদিক সমাজের ধারণা এই ইস্যুতে বিদেশি কূটনীতিকদের অযাচিত হস্তক্ষেপ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপের শামিল। কেউ অপরাধ বা ভুল করলে দেশের প্রচলিত আইনে সমাধান করার পথ খোলা রয়েছে।

কিন্তু বিদেশি কূটনীতিকরা কারণেঅকারণে যেভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে তা সংশয়ের কারণ। বিদেশি কূটনীতিকরা ভিয়েনা কনভেনশন মেনে যেন দায়িত্ব পালন করেন সেই বিষয়টিও সাংবাদিক ইউনিয়ন প্রত্যাশা করে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অতিসম্প্রতি দেশের দুটি দর্শকনন্দিত টিভি চ্যানেলের সংবাদ প্রবাহ প্রণিধানযোগ্য। সংবাদ বিশ্লেষণে বলা যায় নিজের দেশসরকারের ক্ষেত্রে অভাবনীয় বিবেকবর্জিত কর্মকান্ড কিভাবে গণমাধ্যমকে শুধু ভূলুন্ঠিত নয়; সাংবাদিক ও কলম সৈনিকদের নিপীড়ননির্যাতনের ভয়ঙ্কর দৃশ্যপটও এতে

উপস্থাপিত। মার্কিন সংস্থা প্রেস ফ্রিডম ট্র্যাকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ জন সাংবাদিক বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যনিপীড়ন ও হুমকিধমকির শিকার হয়েছে। তন্মধ্যে ৫ জন শারীরিকভাবে আক্রান্ত, ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা গ্রেফতার, ১ জনকে হুমকি প্রদান, ২ জনকে

তথ্য দিতে অস্বীকৃতি এবং কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে ২জনকে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ জন সাংবাদিককে গ্রেফতার কিংবা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই বছরে সরাসরি আক্রমণের শিকার হয়েছে অন্তত ৪০ জন, কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে ১০ জনকে এবং আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছে

৩০ জনকে। উক্ত পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকদের গ্রেফতার বা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ২০২০ সালে। ঐ বছর গ্রেফতার বা মামলার মুখোমুখি এবং আক্রমণের শিকার হয়েছে যথাক্রমে ১৪৫ ও ৬৩১ জন সাংবাদিক। ২০২১ সালে মামলা বা

গ্রেফতারের সম্মুখীন হওয়া ৫৯ জনের মধ্যে গ্রেফতার হয় ৫৬ জন। ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ৬ বছরে মামলা বা গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিকের সংখ্যা ২৮৩ জন এবং সরাসরি হামলার শিকার হয়েছে প্রায় ১ হাজার জন। তথ্য দিতে অস্বীকার করা হয়েছে ৭৬ জনকে, হামলার কারণে

সাংবাদিকতার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে ২০৩ জনের, আদালতের মুখোমুখি হয়েছে ১৬৭ জন, দেহ তল্লাশি এবং যন্ত্রপাতি কেড়ে নেওয়া হয়েছে ৮৩ জনের।

৩ এপ্রিল ২০২৩ গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারের প্রতিবেদন মতে, বর্তমানে সারা বিশ্বে ৫৫০ জনেরও বেশি সাংবাদিক কারাবন্দী রয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও বছরে গড়ে ৫০ জন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের গ্রেফতারের বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে চীন,

মিয়ানমার ও ইরানসহ কয়েকটি দেশে। বর্তমানে চীনে শতাধিক ও মিয়ানমারে ৮০ জন সাংবাদিক কারাগারে রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুইতৃতীয়াংশ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, যে দেশটি নিজেই

সাংবাদিকদের গ্রেফতারে সিদ্ধহস্ত তারা প্রকৃতপক্ষে অন্য কোনো দেশকে সে বিষয়ে সরাসরি অভিযুক্ত করার নৈতিক অধিকার রাখে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুললে বোধহয় অযৌক্তিক হবে না। সাংবাদিকতা এবং মানবাধিকারের মানদণ্ড সবদেশেই সমান হওয়া উচিত। যদি তাই হয়, তবে নিজ দেশের পরিস্থিতি এতটা নাজুক রেখে মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে কোন যুক্তিতে।

২ এপ্রিল ২০২৩ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সম্মানিত আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানির অনেক অভিযোগ এসেছে। প্রয়োজনে এই আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন

আছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা আইন। এ আইন কোনো মতেই বাতিল করা যায় না।’ উল্লেখ্য পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের কোন গণমাধ্যম বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সরকার মামলা করেনি।

মামলা হয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অপরাধের বিরুদ্ধে। ডিজিটাল আইন বিশ্বের সব দেশে আছে। কিন্তু সেখানে হয়তো সরাসরি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলা নেই। ডিজিটাল অপরাধ কমাতে এ আইন করেছে সব দেশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু অপব্যবহার হয়েছে। সেটা আমরা স্বীকার

করে এ বিষয়ে কী পরিবর্তন আনা যায়, তা নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনা এখনো অব্যাহত আছে। সেখান থেকে একটা টেকনিক্যাল নোট এসেছে, আমরা সেটা নিয়ে আলোচনাপর্যালোচনা করছি। সাংবাদিকদের যাতে অহেতুক হয়রানি করা না হয়, সে বিষয়ে একটা

উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’ বিশ্বপরিমণ্ডলে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের অবস্থান শুধু উচুমাত্রিকতায় অধিষ্ঠিত হয়নি; আকাশচুম্বী বিশ্বস্ততায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে খ্যাতিশীর্র্ষে রয়েছে। চলমান বৈশ্বিক নানামুখী সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান ইতিবাচকআশাব্যঞ্জক। এতসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ঐক্যবদ্ধ আপামর জনগণ সকল অন্তরায়কে পরাভূত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্ধকারের অশুভ শক্তির অসহনীয়বেপরোয়া চক্রান্তষড়যন্ত্র সংহার করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবেই। লাখো শহীদের রক্ত ও মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত লালসবুজের স্বাধীনসার্বভৌম বাংলাদেশ নিরন্তর অপরাজিত থাকবেইদেশবাসীর মতো আমারও এটি নিবিড়তম বিশ্বাস।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধএকজন রোকেয়া আফজাল