সংস্কার আধা কিলোমিটারে, ২০ কিমি জুড়ে দিনভর যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

মীরসরাই প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৪ মার্চ, ২০২২ at ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই অংশে গতকাল বুধবার দিনভর অন্তত ২০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে ছিল যানজট। উপজেলার বড়তাকিয়া এলাকায় সংস্কার কাজের দরূন মস্তাননগর থেকে ওয়াহেদপুর পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে ছিল এ যানজট। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় দূরপাল্লার যাত্রীদের।
জানা যায়, কয়েক সপ্তাহ জুড়ে মহাসড়কে চলছে সংস্কার কাজ। যেদিন সংস্কার কাজ চলে সেদিনই লেগে যাচ্ছে যানজট। সড়কের যে অংশে কাজ চলে সেদিকে একলেইন বন্ধ রেখে অন্যপাশে অনিয়ন্ত্রিতভাবে দুদিকের গাড়ি চলাচল করতে দেয়ায় লেগে যাচ্ছে তীব্র যানজট। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাইওয়ে পুলিশ একার পক্ষে সীমিত সংখ্যক সদস্য নিয়ে এমতাবস্থায় যান নিয়ন্ত্রণ অনেকটা দুঃসাধ্যকর ব্যাপার। মহাসড়কের এই সংস্কার কাজে আনসার টিমসহ বাড়তি পুলিশ সদস্য দিয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখা গেলে যানজট অনেকটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করেন অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মীরসরাইয়ের মিঠাছরা ও ঠাকুরদীঘি এলাকা থেকে বড়তাকিয়া পেরিয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নয়দুয়ারীয়া পর্যন্ত সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত যানজট লেগে ছিল। এসময় একটি ইউটার্ন অংশে কাজ চললেও সড়ক সংস্কারের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজন কখনো দুইটা আবার, আবার কখনো তিনটা ইউটার্ন বন্ধ করে রেখেছে। ফলে যানজট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এই যানজট কখনো ঢাকামুখী লাইনে আবার কখনো চট্টগ্রামমুখী লাইনে হচ্ছে।
এ সময় বড়তাকিয়া এলাকায় ঢাকামুখী ট্রাক চালক রশিদ মিয়া বলেন, সকালে চট্টগ্রাম থেকে ট্রাক নিয়ে এ পর্যন্ত ভালোভাবে এসেছি। এখানে এসে আটকা পড়েছি প্রায় কয়েক ঘণ্টা হচ্ছে। কবে এখান থেকে বের হতে পারব জানি না।
চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী হাফেজা আক্তার বলেন, সকালে কুমিল্লা থেকে রওনা হয়েছি। মিঠাছরা এলাকায় যানজটে আটকা পড়েছি। একঘণ্টা পর মীরসরাই সদরে এসেছি। বাকি পথ কখন যাব, কিভাবে যাব বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম শরফুদ্দিন বলেন, সড়ক সংস্কারের কাজে প্রায় প্রতিনিয়ত এখানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আমি একটি টিম নিয়ে যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। ঠিকাদারের স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা কম। তারা আধা কিলোমিটার কাজ করলে প্রায় ৫-৭ কিলোমটিার রাস্তা বন্ধ করে রাখে। ফলে যানজট দীর্ঘ হচ্ছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম অংশে ৬৬ কিলোমিটার সংস্কার কাজ করতে হবে। দৈনিক হাফ কিলোমিটার কাজ করতে পারছি। এই কাজ কবে নাগাদ সম্পন্ন হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে আগামী অর্থ বছরে এই কাজ সম্পন্ন করতে পারব। তিনি আরো বলেন, সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে। এখন যদি এই সংস্কার কাজগুলো করতে না পারি, তাহলে বর্ষায় তো সড়কে গর্ত সৃষ্টি হলে ভোগান্তি আরো বেশি হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৯ মাস পর ধর্ষক গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধখালেদার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল