ষড়যন্ত্র-হত্যার কদর্য রাজনীতি ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল’র ‘পথের দিশা’ কবিতার পংক্তিমালায় নিবন্ধের নির্যাস অনুধাবন ও প্রকৃষ্ট স্বরূপ উন্মোচনে সমধিক প্রযোজ্য। ‘চারিদিকে এই গুন্ডা এবং বদ্‌মায়েসির আখ্‌ড়া দিয়ে/ রে অগ্রদূত, চলতে কি তুই পারবি আপন প্রাণ বাঁচিয়ে?/ … বাঙলা দেশও মাত্‌ল কি রে? তপস্যা তার ভুললো অরুণ?/ তাড়িখানার চিৎকারে কি নাম্‌ল ধুলায় ইন্দ্র বরুণ?/ ব্যগ্র-পরান-অগ্র-পথিক, কোন্‌ বাণী তোর শুনাতে সাধ?/ মন্ত্র কি তোর শুনতে দেবে নিন্দাবাদীর ঢক্ক-নিনাদ?’ সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য; ষড়যন্ত্র বা হত্যার কুৎসিত রাজনীতি কখনো ইতিহাসের সাবলীল ধারাকে রুদ্ধ করতে পারে না। বিশ্বশ্রেষ্ঠ মুক্তির মহানায়কদের অতুলনীয় অবদান মলিন করার প্রচেষ্টায় যারাই লিপ্ত ছিল; দুর্ভেদ্য সত্যের কাঠিন্যে কালান্তরে তারাই ইতিহাসের নিকৃষ্টতম আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন মাতৃভূমির প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে শাহাদাত বরণের জন্য দায়ী ভয়ঙ্কর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা-হত্যার কুৎসিত পরিবেশ ও ক্ষেত্র প্রস্তুতকারী-হত্যাযজ্ঞে প্রত্যক্ষ জড়িত খুনিরা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। বিশ্বসমাদৃত আইনের যথার্থ মানদণ্ডে পরীক্ষিত প্রমাণিত পর্যাপ্ত প্রচলিত আইনের আওতায় বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দৃঢ়চেতা সরকার হত্যাকারীদের বিচার-বিচারের রায় কার্যকর করে দেশকে কলঙ্কমুক্তির অভিধায় অভিষিক্ত করতে পেরেছে। ৯ জুলাই ১৯৭৯ সাল। আধুনিক সভ্যসমাজের পাঠোদ্ধারে সর্বনিকৃষ্ট কলঙ্কজনক দিন হিসেবে নির্ধারিত। ঐদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকার প্রদেয় ধরিত্রীর অতি উঁচুমার্গের সর্বস্বীকৃত বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানকে কলুষিত করার ভয়ানক অপচেষ্টার পরিচ্ছদ নির্মিত হয়। এদিন ১৯৭৫ সালের ৫০ নং অধ্যাদেশ হিসেবে পরিচিত আইনটি ১৯৭৯ সালে সংসদ কর্তৃক অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পঞ্চম সংশোধনীর পর সংশোধিত আইনে বাংলাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই জঘন্য আইন প্রবর্তন করার পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকণ্ডের বিচার চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়া। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৭ম জাতীয় সংসদে আইনটি বাতিল করে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথকে সুগম ও উন্মুক্ত করা হয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষিত হয়। উল্লেখ করার বিষয় হচ্ছে; সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্প্রতি প্রয়াত সভাপতি বিশিষ্ট মেধাবী আইনজীবী ও সাবেক আইনমন্ত্রী জনাব আবদুল মতিন খসরুর গণমাধ্যমে প্রকাশিত নিবন্ধের উদ্বৃতি প্রাসঙ্গিকতায় তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি লিখেছেন, ‘ন্যায়বিচার প্রাপ্তি মানুষের জন্মগত ও মৌলিক অধিকার। কাউকে হত্যা করলে তার শাস্তি হলো বিচার সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ড; বয়স ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডও হতে পারে। কিন্তু কোনো নিরপরাধ-নিরস্ত্র নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যা করে কোনো সভ্যতায় কোনো আইনে কেউ পুরস্কৃত হতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশের জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর খুনীদের বিচার না করে বরং নানাভাবে তাদের পুনর্বাসন ও পুরস্কৃত করা হয়। শুধু পুরস্কৃত করাই হয়নি বরং খুনীদের যাতে বিচার না হয় সেজন্য জারি করা হয়েছিল অবৈধ ও অসাংবিধানিক ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ।’ কবি নজরুল’র কবিতার অমর পংক্তি ‘অসত্যের কাছে কভু নত নাহি হবে শির, ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করেই ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১০ জানুয়ারি তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির পদে ইস্তফা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী রাষ্ট্রপতি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও তাঁর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনার মূলমন্ত্র ছিল শোষণমুক্ত জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এরই আলোকে ১৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ অক্ষুন্ন রেখে সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ঠিক পরের দিন রমনা রেসকোর্স ময়দানকে সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে নামাকরণের ঘোষণা এবং সরকারি আদেশে মদ, জুয়া, হাউজিসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেন।
১৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের হাইকোর্ট অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে হাইকোর্ট গঠন করেন। দেশে উচ্চশিক্ষার প্রসারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ২১ জানুয়ারি ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেন। ২৪ জানুয়ারি পাক-সামরিক জান্তাদের সহযোগী হয়ে এদেশে যারা মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন মানবতা বিরোধী অপরাধকর্মে জড়িত বা দালালী করেছে, তাদের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি মুক্তি ও মুজিব বাহিনীর সকল সদস্যবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর নিকট তাঁদের রক্ষিত অস্ত্রসমর্পণ করে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণের ঘোষণা দেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতির উদ্দেশ্যে বেতার ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘শোষণমুক্ত সোনার বাংলা কায়েমই আমাদের লক্ষ্য’।
বঙ্গবন্ধুর ৫৩তম জন্মদিন অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনন্দিত গণতন্ত্রের ভারতকন্যা প্রয়াত শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় আসেন এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২৫ বছরের জন্য শান্তি, সহযোগিতা ও মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২৬ মার্চ দেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন এবং সকল ব্যাংক, বীমা ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা করা হয়। ৮ মে সারা দেশে কবিগুরুর জন্মদিন যথাযথ মর্যাদায় পালন এবং ২৪ মে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামকে ঢাকায় নিয়ে এসে বঙ্গবন্ধু তাঁর পরিবারকে একটি ভবন ও রাষ্ট্রীয় ভাতা মঞ্জুর করে ২৫ মে এই বিদ্রোহী কবির উপস্থিতিতে অত্যন্ত আড়ম্বর পরিবেশে তাঁর জন্মদিন পালন করা হয়।
১৯৭৩ সালের ১৫ই ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে বেতার ও টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আগামীকাল ষোলই ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় দিবস। আরও স্পষ্ট কথা বিজয় দিবস। এই দিন আমরা আনন্দ উৎসব করি, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাফল্যের জন্যে। এই দিন এক যুদ্ধ শেষ আর এক যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ১৯৭১ সালের ষোলই ডিসেম্বর আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমাপ্তি। এই একই দিনে আমাদের দেশ গড়ার সংগ্রাম শুরু। স্বাধীনতা সংগ্রামের চাইতেও দেশ গড়া বেশি কঠিন। দেশ গড়ার সংগ্রামে আরো বেশি আত্মত্যাগ, আরও বেশি ধৈর্য্য, আরও বেশি পরিশ্রম দরকার।’ চোরের শক্তি বেশি না ঈমানদারের শক্তি বেশি, অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে তাঁর মত জনগণকেও উজ্জীবিত হওয়ার উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, ‘যদি পঁচিশ বছর পাকিস্তানী জালেমদের বিরুদ্ধে লড়তে পারি, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ থেকে আরম্ভ করে গোলাম মোহাম্মদ, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, আইয়ুব খান আর ইয়াহিয়া খান পর্যন্ত সবার সাথে বুক টান করে সংগ্রাম করতে পারি, ৩০ লক্ষ লোকের জীবন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি, তাহলে দুর্নীতি, ঘুষখোরি, মুনাফাখোরি আর চোরাচালানও নিশ্চয়ই নির্মূল করতে পারবো। আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, তোমরাও প্রতিজ্ঞা করো। বাংলাদেশের জনগণ প্রতিজ্ঞা করুক। আমার আর সহ্য করবার শক্তি নেই।’ (ভাষণ ১১/০১/১৯৭৫, কুমিল্লা) বঙ্গবন্ধুর অকুতোভয় এসব কর্মযজ্ঞ ও ভাষণ অসাধারণ প্রাণস্পন্দন সঞ্চার ও দেশবাসীকে দেশ গড়ার ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রচণ্ড উজ্জীবিত করেছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অপরিমেয় সাফল্য গাঁথায় অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে বাংলাদেশ যখন নতুন অভিযাত্রায় পদার্পণ করেছিল, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধপরায়নতার হিংস্র কৌশলে দেশীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে সংঘটিত হয় সভ্যসমাজের ইতিহাসে সর্বনিকৃষ্ট, নৃশংস ও বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গমাতা, শিশু শেখ রাসেলসহ প্রায় সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেড় মাস অতিক্রমকালে খন্দকার মোশতাক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএইচ রহমান স্বাক্ষরিত ‘দি বাংলাদেশ গেজেট, পাবলিশড বাই অথরিটি’ শিরোনামে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ‘দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) অধ্যাদেশ’ জারি করা হয়। অধ্যাদেশটির প্রথম খণ্ডে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বলবৎ আইনের পরিপন্থী যাই কিছু ঘটুক না কেন, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টসহ কোন আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোন আইনী প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না। আর দ্বিতীয় খণ্ডে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি উল্লেখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে যাদের প্রত্যয়ন করবেন তাদের দায়মুক্তি দেয়া হলো।
নৃশংস-বর্বরতম ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বিলুপ্তকরণ প্রসঙ্গে ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত বক্তব্যটি অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করি তখন সমালোচনা করা হয়েছিল, অনেকেই বলেছিল আমি প্রতিশোধ নিচ্ছি। বিএনপি সেদিন খুনীদের রক্ষা করতে হরতাল ডেকেছিল। বিচারপতির পরিবারের ওপর হামলা হয়েছিল। একজন সাধারণ মানুষের হত্যার বিচার যেভাবে হয়, জাতির জনকের হত্যার বিচারও সেভাবেই হয়েছে।’ বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী নিগূঢ় আগ্রহের সাথে এই হত্যাকান্ডের বিচার কার্যাবলী শুধু পর্যবেক্ষণ করেন নি; এই ধরনের সভ্যতা-মানবতা বিরোধী কর্মযজ্ঞের সুবিচার নিশ্চিতকল্পে সরকারের গৃহীত প্রতিটি আইনী পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে অতিশয় স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার অপূর্ব দৃষ্টান্ত হিসেবেও গ্রহণ করেছেন। বিশ্বকবি রবীঠাকুরের ‘ন্যায়দণ্ড’ কবিতার উদ্বৃতি থেকে নি:সঙ্কোচে বলা যায়, সত্যের জয় অনিবার্য। অন্যায় যে করবে এবং প্রত্যক্ষ-প্ররোক্ষভাবে এই অন্যায় সমর্থনকারী উভয়কে সমতুল্য শাস্তি ভোগ করতে হবে। ‘ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা,/ হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা তোমার আদেশে।/ যেন রসনায় মম সত্যবাক্য ঝলি উঠে খরখড়গসম তোমার ইঙ্গিতে।/ যেন রাখি তব মান তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান ॥/ অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে/ তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে ॥’ অতি সম্প্রতি আপামর দেশবাসীর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত সকল অন্ধকার ও অশুভ শক্তির পূজারীদের বস্তু-সত্যনিষ্ট নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুততর সময়ের মধ্যে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জোরালো দাবি উত্থাপিত হয়েছে। বাঙালি জাতি কখনও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মাথা নত করেনি এবং ভবিষ্যতেও পরাভূত না হয়ে শুভ ও আলোকিত শক্তির বিজয় পতাকা উড্ডীন রাখবেই – এটিই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
লেখক: শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতা সমূহের বার্তা
পরবর্তী নিবন্ধউত্তর মাদার্শায় ৮ সড়কের উদ্বোধন