শেষ মুহূর্তে জোর প্রচারণা

চমক দেখিয়ে জয় ছিনিয়ে আনার চেষ্টা ট্রাম্পের

| সোমবার , ২ নভেম্বর, ২০২০ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

জনমত জরিপের ফলকে মিথ্যা প্রমাণ করে, পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে জয় ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে শেষ দুদিনের প্রচার শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল রোববার থেকে শুরু হওয়া এ দফার প্রচারে রিপাবলিকান প্রার্থী সেইসব রাজ্যগুলোতে সমাবেশ করছেন, যেগুলোর ফলের ওপর নির্ভর করছে আরও চার বছর তার হোয়াইট হাউসে থাকা হবে নাকি জর্জ বুশের পর তিনিই হতে যাচ্ছেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি এক মেয়াদের বেশি টিকতে পারছেন না। খবর বিডিনিউজের।
যুক্তরাষ্ট্রে মহামারী মোকাবেলায় ট্রাম্পের অদক্ষতাকে প্রচারের মূল হাতিয়ার বানানো বাইডেন গতকাল পেনসিলভেনিয়া ছিলেন। এ রাজ্যের ২০টি ইলেকটোরাল ভোটও এবারের নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শেষ দুদিনের প্রচারে ট্রাম্পের মোট ১০টি সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। দিনে ৫টি করে। তাঁর লক্ষ্য, প্রচারে সাড়া ফেলে নির্বাচনের দিন আগামীকাল মঙ্গলবার নিজের পক্ষে বিপুল জনরায় নিয়ে আসা।
গতকাল ট্রাম্প মিশিগান, আইওয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও ফ্লোরিডার সমাবেশে অংশ নেন। আজ সোমবার তার প্রচারসূচিতে আছে নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিনে একটি এবং মিশিগানে দুটি সমাবেশ। মিশিগানের গ্র্যান্ড রেপিডসে রাতের সমাবেশের মধ্য দিয়ে ৭৪ বছর বয়সী এ প্রার্থীর প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। একই জায়গায় ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারও শেষ করেছিলেন ট্রাম্প।
চার বছর আগের ওই নির্বাচনে রিপাবলিকান এ প্রার্থী মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিনের মতো কয়েক দশক ধরে ডেমোক্র্যাটদের স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত রাজ্যগুলোতে জিতে বিপক্ষ শিবিরকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিলেন।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণের হারের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হচ্ছে। দেশটিতে এরই মধ্যে ৯০ লাখের বেশি মানুষের দেহে প্রাণঘাতী ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুও দুই লাখ ৩০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
শুরু থেকে করোনার বিপদের মাত্রাকে খাটো করে দেখা ট্রাম্প বলছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী সংক্রমণের এই বিষয়টিকে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন।
জাতীয় পর্যায়ের জনমত জরিপগুলোতে রিপাবলিকান এ প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে দুজনের ব্যবধান খুবই কম।
হোয়াইট হাউসের দখল ধরে রাখতে হলে ট্রাম্পকে এবারও ২০১৬ সালের মতো ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, আইওয়া ও অ্যারিজোনায় সামান্য ব্যবধানে হলেও জয়ী হতে হবে এবং পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনের মতো মধ্য পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর অন্তত একটি ধরে রাখতে হবে। তবে নির্বাচনের নির্ধারিত দিনের আগেই যে বিপুল পরিমাণ আগাম ভোট পড়েছে তাতে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক রিপাবলিকান হতাশ হয়ে পড়ছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রাম্পের সমাবেশ থেকে ৩০ সহস্রাধিক সংক্রমিত : গবেষণা
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬