শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ ধন্য

টুকিটাকি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বুকের ক্যানভাসে ‘শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ ধন্য’ স্লোগান লিখে ঘুরছিলেন এক যুবক। নানাজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। গতকাল সমাবেশ চলাকালে তিনি বুকে সাদা রং দিয়ে ক্যানভাস বানান। তাতে লিখেন, শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ ধন্য। যুবকটি পলোগ্রাউন্ড মাঠের পাশাপাশি সিআরবি এলাকায়ও ঘুরছিলেন। মাঝেমধ্যে তাকে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিতেও দেখা যায়। ওই যুবক হয়ে উঠেছিলেন চলন্ত ফেস্টুন।

নারী শক্তির নীল সাজ
বন্দর-পতেঙ্গা এলাকার নারী শক্তি নগরীর আলোচিত এক সংগঠনের নাম। বন্দর পতেঙ্গা আসনের এমপি এম এ লতিফের হাতে গড়া এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে চল্লিশ হাজারের বেশি। গতকাল শেখ হাসিনার সমাবেশে অন্তত ২৫ হাজার সদস্য হাজির হয়েছেন। নারী শক্তির নারীরা নীল রঙের শাড়ি পরে হাজির হয়েছিলেন সমাবেশস্থলে।

হকারদের জমজমাট ব্যবসা
পলোগ্রাউন্ডে সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি। নগরী ও জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে যোগ দেন। অনেকে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসেন। কিন্তু দুপুরের আগ থেকেই মাঠে ঢোকার মতো আর জায়গা ছিল না। মাঠ ভর্তি হয়ে গিয়েছিল মানুষে। এ সময় টাইগারপাস, আমবাগান রোড, সিআরবি, স্টেশন রোডসহ পুরো এলাকায় মানুষ গিজগিজ করছিল। তীব্র রোদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। দীর্ঘ এই অপেক্ষায় বাদাম, চানাচুর, ঝালমুড়ি, ছোলা, চটপটি, চা-কফি, পানি, আমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের আচারের জমজমাট ব্যবসা চলে। ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করে কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না। হকারদের ঘিরে বিভিন্ন ধরনের খাবার কিনছিলেন নেতাকর্মীরা। পানি ও চা-কফির কদর বেশি ছিল বলে কয়েকজন হকার জানিয়েছেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা
পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশস্থলে ঢুকতে না পারা মানুষের সংখ্যা অনেক। নানাভাবে চেষ্টা করেও নেত্রীকে দেখতে না পেরে মন খারাপ করা লোকের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু এই ধরনের হাজার হাজার মানুষের কষ্ট লাঘব করে দেয় প্রযুক্তি। নেত্রীকে না দেখলেও পর্দায় নেত্রীকে দেখে বক্তব্য শোনার স্বাদ পেয়েছেন অনেকেই।
প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ উপলক্ষে সিআরবি এলাকায় তিনটিসহ মোট সাতটি বড় পর্দায় প্রচার করা হয়। সমাবেশস্থল এবং আশেপাশে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো হয় দেড় শতাধিক মাইক। একেকটি পিলারে তিনটি করে মাইক লাগানো হয়। এতে করে বড় পর্দায় সমাবেশের বক্তাদের বক্তব্য শোনা যাচ্ছিল। একেবারে মঞ্চের সামনে বসে বক্তব্য শোনার মতো করে প্রতিটি জায়ান্ট স্কিনের সামনে অগুনতি মানুষকে দীর্ঘক্ষণ বসে বক্তব্য শুনতে দেখা গেছে। সিআরবি এলাকায় বসার জায়গা থাকায় স্বস্তির সাথে প্রধানমন্ত্রীর প্রায় ৫০ মিনিটের বক্তব্য শুনেছে অগুনতি মানুষ। ডিজিটাল এই সুবিধা না থাকলে তাদেরকে আফসোস নিয়ে পলোগ্রাউন্ড এলাকা ছাড়তে হতো।

টেক্সিতে শুয়ে সমাবেশে এসেছেন অসুস্থ ফরিদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক পলক দেখতে অসুস্থ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ (৬৭) সিএনজি টেঙিতে শুয়ে হাজির হয়েছেন সমাবেশস্থলে। টেঙির পেছনে একটি বালিশে মাথা দিয়ে সিআরবি এলাকায় অবস্থান করছিলেন তিনি। শেখ হাসিনার সমাবেশ দেখতে মন না মানায় অসুস্থ শরীর নিয়ে চলে এসেছেন বলে জানান তিনি। তিনি কিডনি রোগী। আকবরশাহ এলাকা থেকে সমাবেশস্থলে এসেছেন।
সারা দিনের জন্য ভাড়ায় নিয়ে আসা টেঙির ভাড়ার ব্যাপারে চালক জানান, আমি কোনো দরাদরি করিনি। কোনো দাবিও করব না। উনি যা দেন তাই নেব। তিনি নিজেও সমাবেশ দেখতে আগ্রহী ছিলেন বলে জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৯ প্রকল্প উদ্বোধন, ছয় প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী