শেখ রাসেলের জন্য একরাশ ভালোবাসা

বিভাস গুহ | সোমবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২১ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

১৮ অক্টোবর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের জন্মদিন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের আজকের এইদিনে জন্ম নিয়েছিলেন মুজিব পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তানরূপে। নোবেল বিজয়ী লেখক বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুত্রের নাম রেখেছিলেন রাসেল।
১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের বর্বরতম নৃশংস নির্মম নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে পরিবারের সবার সাথে ১১ বছরের এই নিষ্পাপ শিশুটিকেও বুলেটের আঘাত থেকে রেহাই দেয়নি। বাংলাদেশ সরকার শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ দিনটিকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। শিশু শেখ রাসেলের সখ ছিল আর্মি অফিসার হবার। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস সখের সে আর্মি অফিসারদের হাতেই তাকে জীবন দিতে হল। মানুষের ভিতর কতটুকু রক্ত পিপাসা জাগলে পরিবারের সবার রক্ত পান করার পরেও ছোট্ট নিষ্পাপ শিশুর রক্তপান করা থেকেও বিরত হয় না তা আমরা ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্টে দেখতে পাই। ‘আমি আমার মায়ের কাছে যাব’ এ করুণ আর্তনাদেও মন গলেনি যাদের তারা কী মানুষ নাকি অন্যকিছু এর উত্তর আমার জানা নেই। চতুর্দিকে হিংস্র থাবা তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছোট্ট রাসেল বলছে ‘আমাকে হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দিন’। অবুঝ শিশু যেতে চায় তার নির্ভরতার ঠিকানা হাসু আপার কাছে কিন্তু সে তো জানে না হিংস্র থাবার মধ্যে তার রক্তপানের নেশা জেগেছে। রক্তপানেই হবে তৃপ্ত। বুলেটের আঘাত মুহূর্তের মধ্যে কেড়ে নিল রাসেলের জীবন।
যে রাসেল বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে নির্ভরতার ঠিকানা হাসু আপার কাছে ফিরে যেতে চেয়েছিল সে হাসু আপার কাছে আজ বাংলার সর্বস্তরের জনগণ নির্ভরতার আশ্রয়স্থল হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। সেদিন রাসেল পৌঁছতে পারেনি তাই বাঁচতে পারেনি আজ বাংলার জনগণ বুঝতে পেরেছে বাংলা ও বাঙালিকে যদি কেউ নিরাপদ রাখতে পারে, বাঁচাতে পারে তিনি হাসু আপা। রাসেল আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে বাঁচতে চাইলে হাসু আপার কাছে পৌঁছতে হবে পৌঁছতে না পারলে বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা হতে হবে। রাসেল মরেনি বেঁচে আছে হাজারো শিশুর মধ্যে উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা হয়ে। আমাদের নির্ভরতার পথের ঠিকানার সন্ধানদাতা হয়ে। রাসেলের জন্য একরাশ ভালোবাসা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরস্পর বিদ্বেষে বিপর্যস্ত হয় সর্বোত্তম সম্পর্ক
পরবর্তী নিবন্ধশেখ রাসেলের জন্মদিন আজ