ঠিক যেনো সেই তোমার মতো একটুখানি সুযোগ পেলে,
ছুটতো মাঠে, সদলবলে টুঙ্গিপাড়ার দস্যি ছেলে।
বেরিয়ে যেতো নাটাই হাতে আকাশ পানে রঙিন ঘুড়ি,
হারিয়ে যেতো ঘুড়ির ডানায় স্বপ্নলোকের স্বপ্নপুরী।
কোন পুকুরে ভাসছে জলে হরেক রকম হাঁসের ছানা,
কিচির মিচির করছে পাখি ভোরের আলোয় উড়িয়ে ডানা।
খোঁজতো গাছের কোন ডালেতে ঝুলছে বাবুই পাখির বাসা,
তাদের প্রতি সেই ছেলেটার ছিলো অগাধ ভালোবাসা।
কখনোবা কবির মতো ভাবতো বসে নদীর তীরে,
স্বপ্ন ছিলো হাজার রকম মাতৃসম দেশকে ঘিরে।
লেজগুটিয়ে হায়েনারা এদেশ থেকে ভাগবে কবে,
বর্গী সেনার কবল থেকে আমার স্বদেশ মুক্ত হবে।
কখন পাবো পাখির মতো মুক্ত হাওয়ায় স্বাধীন ভূমি,
যেমনি করে স্বাধীন দেশে ভাবছো বসে আজকে তুমি।
সেই ছেলেটি তোমার আমার প্রিয় খোকা দীপ্ত রনক,
স্বাধীন দেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর ‘জাতির জনক’।