ভোরের কুয়াশা জড়ানো টুপটাপ শিশিরের শব্দে ঠান্ডা হিমেলের আগমনী বার্তা দিয়ে আমাদের দুয়ারে শীত এসে উপস্থিত। অবশ্যই গ্রামে আরও মাসখানেক আগে এসেছে শহরে একটু দেরিতে আসে। শীত নিয়ে কথা বললে প্রথমেই আসে শীত বস্ত্রের কথা কারণ হাড়কাঁপানো শীত থেকে বাঁচবার উপায় হচ্ছে গরম কাপড় পরিধান করা, কিন্তু এই কাপড় ক্রয় করার ক্ষমতা অনেকেরই নেই, এই সমাজে যারা ধনী মধ্যবিত্তরা আছেন তাদের কাছে আবার শীত সব সময় উপভোগ্য। শীতের একটি পড়ন্ত বিকেলে বিভিন্ন বারবিকিউ পার্টি, পিকনিক কিংবা দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়া, পিঠা পার্টি কতো কি পরিকল্পনা চলে। শীত ঋতু তাদের কাছে যতটা আনন্দের কিন্তু একই সমাজের বাস করা ছিন্নমূল মানুষের কাছে ততটা যন্ত্রণাময়। শহরের স্টেশন কিংবা রাস্তার পাশে অথবা বস্তিতে যারা বহু কষ্টে দিনযাপন করে এক বেলা খায় আর এক বেলা খায় না এই মানুষগুলোর কাছে শীত মানেই নরক যন্ত্রণার সমান। প্রচন্ড শীতে তাদের কোলের শিশুরা নিউমোনিয়া রোগে মারা যায়। বৃদ্ধরা মারাত্মক ঠান্ডা জনিত অসুখে মরণাপন্ন অবস্থা হয়। তারা ঠিকমতো চিকিৎসাও করাতে পারে না আর যারা পাহাড়ে বসবাস করে তারা তো আরো তীব্র কষ্টের শীত পার করে তাই এই সমাজের মধ্যবিত্ত এলিট শ্রেণীর দায়িত্ব ছিন্নমূল মানুষগুলো আর পাহাড়ে বাস করা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শীতবস্ত্র পৌঁছে দেয়া। সাধারণ মানুষের মধ্যে এক অসাধারণ মানবিক কর্মকাণ্ড করার জন্য সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ তার অবস্থান থেকে দরিদ্র মানুষগুলোকে সাহায্য করা বেশি প্রয়োজন। তাই আর দেরী নয়, এখন থেকেই পরিকল্পনা করুন অন্ততপক্ষে যদি ১০০ টি সোয়েটার কিংবা একশটি কম্বল দেওয়া যায় আপনার মানবিক উষ্ণতায় ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতের প্রচণ্ড যন্ত্রণা থেকে বেঁচে উঠবে এখন ছোট ছোট দরিদ্র শিশুরা ঠান্ডা জনিত অসুখ থেকে মুক্তি পাবে বৃদ্ধরাও শান্তি পাবে।