মসজিদ থেকেই শুরু হোক সচেতনতা

এস. এম. শাহ আলম | শুক্রবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

সচেতনতাই সফলতা। কথায় বলে, ‘সাবধানের মার নেই’। অদৃশ্য শক্তি করোনা মহামারির কবলে পড়ে পুরো বিশ্ব আজ স্তব্ধ। এ অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে টিকে থাকার জন্য সরকার থেকে সচেতন মহল যতই না সিরিয়াস, সাধারণ জনগণ ততই উদাসীন। কোনো কিছু গুরুত্ব না দেওয়াই যেন প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শত কঠোরতা আর নির্দেশ সত্ত্বেও অনেকে তা গা করে না। যাদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের এতো চেষ্টা তাদের অসচেতনতা সরকারের বড় মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন নিয়ম কানুন না মানাটাই বেপরোয়া লোকদের এক ধরনের স্টাইল বলে মনে হয়। যা সকলের জন্য যেমন অমঙ্গল তেমনি ক্ষতিকর। ধর্ম একটি স্পর্শকাতর বিষয়। মানুষ মাত্রই ধর্মের প্রতি দুর্বল। জুমারদিন সবাই মসজিদে যায়। ধর্মীয় আলোচনার পাশাপাশি করোনা মহামারি রোধে সরকারি নির্দেশনা ‘নো মাস্ক নো সেবা’ শারীরিক বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় জন-সচেতনতা বাড়াতে পারে। প্রথম প্রথম যেভাবে সবাই গুরুত্ব দিয়েছে ঠিক সেই রকম উপকারও পেয়েছে। সেই নিরবচ্ছিন্ন জন-সচেতনতার কারণেই দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমেছে। মৃত্যুর হার কম হওয়ার কারণে সাধারণ জনগণ আবারও বেপরোয়া জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে যুবকরাই বেশি বেপরোয়া। যুবক আর শ্রমিকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। তাই তারা উদাসীনও বেশি। হয়তো জীবাণু তাদের সহজে আক্রমণ করতে পারবেনা, তাদের বহন করা জীবাণু যে আশেপাশে ছড়াতে পারে সেটাও তারা বুঝতে চায় না। শুধু নিজের নিরাপত্তা নয়, একজনের উদাসীনতার কারণে যাতে দশজন আক্রান্ত না হয় সেদিকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এভাবে দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জন সচেতনতামূলক আলোচনা জরুরি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৪ নং ওয়ার্ড দাইয়াপাড়ায় রাস্তা নালা ডাস্টবিন ও ফুটপাতের কাজ দ্রুত করার আবেদন
পরবর্তী নিবন্ধশীতে সাধারণ মানুষের জন্য মানবিক কর্মকাণ্ড