কোনো এক কুৃয়াশা ঢাকা শীতের সকালে নানুর বাড়িতে ঢেকির শব্দে আমার প্রথম ঘুম ভাঙা। সেদিন থেকে আমার স্বদেশের প্রকৃতিকে অবলোকন করা। একাত্তর বছরের আমার নানু যেন নবযৌবনপ্রাপ্ত রমনী, পৌষের বিরহীনি বধূর মত সেজে ঢেকিতে চাউল ভাঙছিল। ভাপা পিঠের অমৃত আয়োজনে রস সংগ্রহে শিশির ভেজা দুর্বাঘাসে ছুটে চলা, সেই খেজুর থেকে খেজুর তলা।
উনুনের পাশে বসে ভাপাপিঠা আর খেজুর রসের সিন্নি খাওয়া। সেই এক রসের মেলা সেটা শুধু আমাদের স্বদেশেই সম্ভব। মেলার দেশ বাংলাদেশ, গ্রামে, গঞ্জে, শহরে, বন্দরে, বটতলা, হাটখোলা, সবখানেই জমবে মেলা। একত্রিশ বছর পর এখন শহরে শীত আসে দারুণ ব্যস্ততায়। শীতের সকালে এক ঝলক মিষ্টি রোদের প্রত্যাশায়, জানালা খোললে চোখ পড়ে একঝাঁক তরুণী টিপিনকেরি নিয়ে দৌড়াচ্ছে, নিজ কর্ম ব্যস্ততায়।
কয়েকজন রিঙা চালক যাত্রীর প্রতীক্ষায় প্রহরে গুণছে। নানা ব্যস্ততায় দিন চলে যায়। সন্ধ্যায় সি আর বি, কিংবা ডিসি হিলের পথ ধরে বাড়ি ফিরতে শীতল হাওয়া গায়ে উষ্ণ ছোঁয়ায় জানান দেয়, শীত এসেছে।