চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করে শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তরসহ এখানে একটি কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। গতকাল দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবির ‘কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেনারেল হাসপাতাল ও সনাক-টিআইবি চট্টগ্রাম মহানগর যৌথভাবে সভার আয়োজন করে।
ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, এ হাসপাতালে মোট ১৮টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এ বেডগুলো আগে করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর জন্য ব্যবহার হতো। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে ১২ বছরের অধিক বয়সী প্রায় সকলে কোভিড টিকার ১ম, ২য় ও বুস্টার ডোজের আওতায় আসার কারণে বর্তমানে করোনার সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে আইসিইউর অধিকাংশ বেড শূন্য রয়েছে। এসব আইসিইউ বেডে নন-কোভিড জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের খাবারের মান আগের তুলনায় উন্নত করা হয়েছে। জনবল সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান হলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে টিম জেনারেল হাসপাতাল আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় কোভিডকালীন সারা দেশে চিকিৎসাসেবার দিক থেকে এ হাসপাতাল একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় নিয়মিত টিকা, গণটিকা ও বুস্টার ডোজ প্রদানের কারণে কোভিড সংক্রমণ এখন শূন্যের কোটায়। অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সংযুক্তিতে এখানে ডাক্তার-নার্স-কর্মচারী এনে স্বচ্ছতার সাথে কোভিড টিকা প্রদানসহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, আউটডোর ও ইনডোরে রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়া হচ্ছে। সমাজের কিছু ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান করায় জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম আরও বেগবান হয়েছে।
টিআইবি চট্টগ্রাম মহানগরের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক-টিআইবির সদস্য প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল, কনসালট্যান্ট (গাইনী) ডা. রওশন আরা বেগম, সনাক-টিআইবির সহসভাপতি রওশন আরা চৌধুরী ও টিআইবির ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর মো. জসিম উদ্দিন।
মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ‘কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট ও কর্তৃপক্ষের করণীয় বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন সনাক-টিআইবির সদস্য অধ্যাপক সঞ্জয় বিশ্বাস। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ শওকত আল-আমির ওসমানী ও সিনিয়র স্টাফ নার্স মঞ্জু রানী দাশ।
