ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। একটি কল্যাণকর ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে প্রয়োজন এমন একটি পরিবেশ, যা শিশুদের অনুকূলে এবং শিশুরা নির্ঝঞ্ঝাট ও নির্বিঘ্নে বেড়ে উঠবে। পরিবার ও সমাজে শিশুদের বিচরণ হবে স্নেহময়, ভালোবাসা ও পরিচর্যাময়। শিশুর বিকাশের পথ হবে সর্বত্র উন্মুক্ত। কিন্তু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আদতেই কি এমন পরিস্থিতি আছে শিশুদের জন্য? বন্ধ হয়েছে শিশুর প্রতি নিপীড়ন, নির্যাতন ও সহিংসতা? মেয়ে শিশুদের জন্য কি একটা সহনশীল ও নিরাপদ পরিবেশ আমরা দিতে পেরেছি এই শতাব্দীতে এসেও। প্রশ্ন আসে, সমাজ ও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ক্রমশ নারী হয়ে ওঠা শিশুদের প্রতি কতখানি বৈষম্যহীন ও সহনশীল? কতটা নিরাপত্তা দিতে পারছি পরিবার কিংবা সমাজে? মানবাধিকার নিশ্চিত করতে শিশুদের জন্য দরকার একটা ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশোপযোগী পরিবেশ।
বাংলাদেশ শিশুর স্বার্থ সুরক্ষায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৯৭৪ সালে প্রথম শিশু আইন প্রণয়ন করে। তাছাড়া বাংলাদেশের সংবিধান ও অন্যান্য আইনসমূহেও শিশুর স্বার্থ সংরক্ষণের বিধান আছে।
১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ কর্র্তৃক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় ‘জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ’। যেখানে শিশুদের সার্বিক অধিকারগুলো স্পষ্ট, সুনির্দিষ্টভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
১৮ বছরের নীচে সকল মানব সন্তানকে শিশু হিসেবে উল্লেখ করে সনদে বলা হয়েছে, পৃথিবীর সকল শিশুরই মর্যাদা ও অধিকারে সমান। অনুচ্ছেদ ১৪ (১) (শিশুদের চিন্তা, বিশ্বাস ও ধর্মের স্বাধীনতা) এবং ২১ (শিশু দত্তক সংক্রান্ত)-এ সংরক্ষণ (জবংবৎাধঃরড়হ) রেখে বাংলাদেশ ৩ আগস্ট ১৯৯০ সালে এই সনদটি অনুসমর্থন করেছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান ১৯৭৪ সালের শিশু আইন আন্তর্জাতিক আইনের তুলনায় শিশু অধিকার সংরক্ষণে যথেষ্ট অপ্রতুল। সনদের পক্ষভুক্ত দেশ হিসেবে তাই আন্তর্জাতিক মানের শিশু অধিকার সুরক্ষায় আইনি বিধান প্রণয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার বাধ্যবাধকতা থেকে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় বিদ্যমান শিশু আইন রহিত করে ১৯১৩ সালে নতুন করে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়। যা ‘শিশু আইন ২০১৩’ নামে অভিহিত হয়।
জাতীয় শিশু সুরক্ষা নীতি ২০১১ এবং শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী শিশুর সুরক্ষা ও আইনি সহায়তা প্রদানে সরকার বদ্ধ পরিকর ও অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে শিশুর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধে অধিকার সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে। জুভেনাইল জাস্টিস–এর ব্যাপারে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে যা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন। এক্ষেত্রে নিগৃহীত ও নির্যাতিত শিশুর সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়– ‘শিশু নির্যাতনের ঘটনা যেখানেই ঘটুক না কেন মামলা নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর তা না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিশুর পরিবারকে হয়রানি করা যাবে না।’
কোনো শিশু বিভিন্ন অপরাধে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা যাবে না। তাকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ করতে হবে। শিশু আইন ২০১৩ এর ২৬। (১) বিচারকালীন শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার বিষয়টি সর্বশেষ পন্থা হিসাবে বিবেচনা করিতে হইবে, যাহার মেয়াদ হইবে যথাসম্ভব স্বল্পতম সময়ের জন্য। (৩) শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা একান্ত প্রয়োজন হইলে শিশু–আদালত, সংশ্লিষ্ট শিশুকে উক্ত আদালত হইতে যুক্তিসঙ্গত দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত কোনো প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ–ধারার অধীনে কোনো শিশুকে প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকারী অধিক বয়স্ক শিশুদের হইতে প্রেরিত শিশুকে পৃথক করিয়া রাখিতে হইবে।
ধারা ৫৯। (১) সরকার, বিচার প্রক্রিয়ায় আটকাদেশপ্রাপ্ত শিশু এবং বিচারের আওতাধীন শিশুর আবাসন, সংশোধন ও উন্নয়নের লক্ষে, লিঙ্গভেদে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবে।
(২) উপধারা (১) এর প্রাসঙ্গিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া সরকার, যে কোনো সময়, উহার যে কোনো ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠানকে শিশু অপরাধীদের অবস্থানের জন্য উপযুক্ত মর্মে প্রত্যয়ন করিতে পারিবে।
তবে এক্ষেত্রে শর্ত রয়েছে– ধারা ৬৩। (৩) দণ্ডবিধির ধারা ৮২–এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে ৯ (নয়) বছর বয়সের কম বয়সী কোনো শিশুকে কোনো প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে রাখা যাইবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কারণে ৯ (নয়) বছর বয়সের কম বয়সী অভিভাবকহীন কোনো শিশুকে কোথাও পাওয়া গেলে তাহাকে অধিদফতর বা উহার নিকটস্থ কোনো কার্যালয়ে প্রেরণ করিতে হইবে এবং অধিদফতর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বোর্ডের গোচরীভূত করত: সংশ্লিষ্ট শিশুকে সুবিধাবঞ্চিত শিশু গণ্যে, ক্ষেত্রমতো, ধারা ৮৪ বা ধারা ৮৫–এর বিধান অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
তবে কথা থেকে যায়, শিশু আইন তো আছে, যেমন আছে অন্যান্য আইনসমূহ। কিন্তু আইনে উল্লেখিত বিধানগুলো শিশুদের ক্ষেত্রে কি যথাযথ বাস্তবায়িত হচ্ছে? বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও ব্যক্তি যদি আইনের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থাবান না হয়, শিশুর অধিকারের প্রতি আন্তরিক না হয়, তবে দেশে কখনোই শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না। ফলে শিশুর প্রতি সহিংসতা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটতে থাকবে।
শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী
সিএমএম কোর্ট, চট্টগ্রাম
শিশু আইন ও বাস্তবতা
হ রিমঝিম আহমেদ
ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। একটি কল্যাণকর ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে প্রয়োজন এমন একটি পরিবেশ, যা শিশুদের অনুকূলে এবং শিশুরা নির্ঝঞ্ঝাট ও নির্বিঘ্নে বেড়ে উঠবে। পরিবার ও সমাজে শিশুদের বিচরণ হবে স্নেহময়, ভালোবাসা ও পরিচর্যাময়। শিশুর বিকাশের পথ হবে সর্বত্র উন্মুক্ত। কিন্তু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আদতেই কি এমন পরিস্থিতি আছে শিশুদের জন্য? বন্ধ হয়েছে শিশুর প্রতি নিপীড়ন, নির্যাতন ও সহিংসতা? মেয়ে শিশুদের জন্য কি একটা সহনশীল ও নিরাপদ পরিবেশ আমরা দিতে পেরেছি এই শতাব্দীতে এসেও। প্রশ্ন আসে, সমাজ ও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ক্রমশ নারী হয়ে ওঠা শিশুদের প্রতি কতখানি বৈষম্যহীন ও সহনশীল? কতটা নিরাপত্তা দিতে পারছি পরিবার কিংবা সমাজে? মানবাধিকার নিশ্চিত করতে শিশুদের জন্য দরকার একটা ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশোপযোগী পরিবেশ।
বাংলাদেশ শিশুর স্বার্থ সুরক্ষায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৯৭৪ সালে প্রথম শিশু আইন প্রণয়ন করে। তাছাড়া বাংলাদেশের সংবিধান ও অন্যান্য আইনসমূহেও শিশুর স্বার্থ সংরক্ষণের বিধান আছে।
১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ কর্র্তৃক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় ‘জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ’। যেখানে শিশুদের সার্বিক অধিকারগুলো স্পষ্ট, সুনির্দিষ্টভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
১৮ বছরের নীচে সকল মানব সন্তানকে শিশু হিসেবে উল্লেখ করে সনদে বলা হয়েছে, পৃথিবীর সকল শিশুরই মর্যাদা ও অধিকারে সমান। অনুচ্ছেদ ১৪ (১) (শিশুদের চিন্তা, বিশ্বাস ও ধর্মের স্বাধীনতা) এবং ২১ (শিশু দত্তক সংক্রান্ত)-এ সংরক্ষণ (জবংবৎাধঃরড়হ) রেখে বাংলাদেশ ৩ আগস্ট ১৯৯০ সালে এই সনদটি অনুসমর্থন করেছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান ১৯৭৪ সালের শিশু আইন আন্তর্জাতিক আইনের তুলনায় শিশু অধিকার সংরক্ষণে যথেষ্ট অপ্রতুল। সনদের পক্ষভুক্ত দেশ হিসেবে তাই আন্তর্জাতিক মানের শিশু অধিকার সুরক্ষায় আইনি বিধান প্রণয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার বাধ্যবাধকতা থেকে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় বিদ্যমান শিশু আইন রহিত করে ১৯১৩ সালে নতুন করে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়। যা ‘শিশু আইন ২০১৩’ নামে অভিহিত হয়।
জাতীয় শিশু সুরক্ষা নীতি ২০১১ এবং শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী শিশুর সুরক্ষা ও আইনি সহায়তা প্রদানে সরকার বদ্ধ পরিকর ও অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে শিশুর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধে অধিকার সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে। জুভেনাইল জাস্টিস–এর ব্যাপারে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে যা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন। এক্ষেত্রে নিগৃহীত ও নির্যাতিত শিশুর সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়– ‘শিশু নির্যাতনের ঘটনা যেখানেই ঘটুক না কেন মামলা নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর তা না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিশুর পরিবারকে হয়রানি করা যাবে না।’
কোনো শিশু বিভিন্ন অপরাধে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা যাবে না। তাকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ করতে হবে। শিশু আইন ২০১৩ এর ২৬। (১) বিচারকালীন শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার বিষয়টি সর্বশেষ পন্থা হিসাবে বিবেচনা করিতে হইবে, যাহার মেয়াদ হইবে যথাসম্ভব স্বল্পতম সময়ের জন্য। (৩) শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা একান্ত প্রয়োজন হইলে শিশু–আদালত, সংশ্লিষ্ট শিশুকে উক্ত আদালত হইতে যুক্তিসঙ্গত দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত কোনো প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিবে : তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ–ধারার অধীনে কোনো শিশুকে প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকারী অধিক বয়স্ক শিশুদের হইতে প্রেরিত শিশুকে পৃথক করিয়া রাখিতে হইবে।
ধারা ৫৯। (১) সরকার, বিচার প্রক্রিয়ায় আটকাদেশপ্রাপ্ত শিশু এবং বিচারের আওতাধীন শিশুর আবাসন, সংশোধন ও উন্নয়নের লক্ষে, লিঙ্গভেদে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবে।
(২) উপধারা (১) এর প্রাসঙ্গিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া সরকার, যে কোনো সময়, উহার যে কোনো ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠানকে শিশু অপরাধীদের অবস্থানের জন্য উপযুক্ত মর্মে প্রত্যয়ন করিতে পারিবে।
তবে এক্ষেত্রে শর্ত রয়েছে– ধারা ৬৩। (৩) দণ্ডবিধির ধারা ৮২–এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে ৯ (নয়) বছর বয়সের কম বয়সী কোনো শিশুকে কোনো প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে রাখা যাইবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কারণে ৯ (নয়) বছর বয়সের কম বয়সী অভিভাবকহীন কোনো শিশুকে কোথাও পাওয়া গেলে তাহাকে অধিদফতর বা উহার নিকটস্থ কোনো কার্যালয়ে প্রেরণ করিতে হইবে এবং অধিদফতর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বোর্ডের গোচরীভূত করত: সংশ্লিষ্ট শিশুকে সুবিধাবঞ্চিত শিশু গণ্যে, ক্ষেত্রমতো, ধারা ৮৪ বা ধারা ৮৫–এর বিধান অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
তবে কথা থেকে যায়, শিশু আইন তো আছে, যেমন আছে অন্যান্য আইনসমূহ। কিন্তু আইনে উল্লেখিত বিধানগুলো শিশুদের ক্ষেত্রে কি যথাযথ বাস্তবায়িত হচ্ছে? বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও ব্যক্তি যদি আইনের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থাবান না হয়, শিশুর অধিকারের প্রতি আন্তরিক না হয়, তবে দেশে কখনোই শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না। ফলে শিশুর প্রতি সহিংসতা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটতে থাকবে।
শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী
সিএমএম কোর্ট, চট্টগ্রাম