শিক্ষা বিভাগের কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট সিভিল সার্জন

স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

গত ৯ ডিসেম্বর থেকে ১২-১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে। নগরের ৫টি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির পক্ষ থেকে কেন্দ্র চূড়ান্ত ও শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করে তা স্বাস্থ্য বিভাগকে হস্তান্তর করার কথা। পরবর্তীতে মাউশির তালিকা অনুযায়ী টিকাদান কর্মী পাঠিয়ে টিকা প্রয়োগ করার কথা স্বাস্থ্য বিভাগের।
তবে শিক্ষার্থীদের এ টিকাদান কার্যক্রমে শিক্ষা বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে অসন্তুষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ফাইজারের টিকাদান স্পর্শকাতর একটি প্রক্রিয়া। সবখানে এ টিকা রাখা যায় না, প্রয়োগ করাও যায় না। আবার এ টিকা প্রয়োগের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে প্রস্তুতির বিষয় থাকে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের টিকাদানের ক্ষেত্রে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা যথাযথ যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করতে পারছেন না। এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে গত ৯ ডিসেম্বর জেলা শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। সমন্বয়হীনতার কথা তুলে ধরে সিভিল সার্জন বলেন, সম্ভাব্য টিকা গ্রহীতা শিক্ষার্থীদের তালিকা অন্তত ৭ দিন আগে সরবরাহ করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ওনারা (শিক্ষা বিভাগ) আগের দিন সন্ধ্যায় (অফিস সময়ের পর) কোনো রকমে একটি তালিকা পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন। যা আমাদের স্টাফদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে। এতে বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাছাড়া মহানগরের যেসব স্কুলে টিকা দেয়া হচ্ছে, সেগুলো সিটি কর্পোরেশনের অধীনে। কিন্তু ওনারা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথেও যোগাযোগ ও সমন্বয় করছেন না।
স্কুল শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকাদানের স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল কার্যক্রমের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রস্তুতি ও সমন্বয় ব্যতীত ভবিষ্যতে টিকাদান কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জন্য অত্যন্ত দুরূহ উল্লেখ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক ও চট্টগ্রামের জেলাপ্রশাসককে এ চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে। জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, আমাদের দাফতরিক সব কাজ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের টিকাদানের এ কর্মযজ্ঞ সামাল দিতে হচ্ছে। খুব সীমিত জনবল দিয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝে এ কাজ করতে হচ্ছে। যার কারণে কিছু জটিলতা থাকছেই। এরপরও আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন বলেও জানান জেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হায়দার হেনরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএত কিছু করেও পড়তে হলো ধরা
পরবর্তী নিবন্ধমুরাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতেও মামলার আবেদন