মুরাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতেও মামলার আবেদন

১৫ ডিসেম্বর আদেশ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ কটুক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকা, রাজশাহী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও মামলার আবেদন হয়েছে। আবেদনে ইউটিউবার মো. মহিউদ্দিন হেলাল প্রকাশ নাহিদ হেলাল নামের অপর একজনকেও বিবাদী করা হয়।
গতকাল রোববার বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালে মামলাটি করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এএসএম বদরুল আনোয়ার। এএসএম বদরুল আনোয়ার ও আদালত সূত্র আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বদরুল আনোয়ার বলেন, জাইমাসহ নারী সমাজের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছেন ডা. মুরাদ হাসান। তাকে সহযোগীতা করেছেন নাহিদ নামের ব্যক্তি। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিরোধী। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, মামলার আবেদনটি ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসকেএম তোফায়েল হাসান গ্রহণ করেছেন এবং আদেশের জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি এবং তাঁদের পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গত ১ ডিসেম্বর ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক ও ব্যক্তিগতভাবে অপমান-অপদস্ত ও হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীলভাবে এবং নারীবিদ্বেষী বক্তব্যসহ একটি ভিডিওটি প্রকাশ ও প্রচার করেছেন বিবাদীরা। যাহা সার্বিকভাবে জিয়া পরিবারের সদস্যদের সাথে সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক। আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, শিষ্টাচার বহির্ভূত এই ভিডিওটি দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বিদ্বেষ ও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি দেশের আপামর সর্বস্থরের জনসাধারণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাইমা রহমানকে নিয়ে কটুক্তির কয়েকদিন পর চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে ডা. মুরাদ হাসানের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। যেখানে গোয়ন্দা সংস্থা দিয়ে তুলে আনার হুমকি, এমনকি ধর্ষণের হুমকি দিতেও শোনা যায় মুরাদ হাসানকে। এমন অবস্থায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রীসভা থেকে সরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষা বিভাগের কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট সিভিল সার্জন
পরবর্তী নিবন্ধকানাডা-আমিরাতের এয়ারপোর্ট ঘুরে মুরাদ ফিরেছেন দেশে