এত কিছু করেও পড়তে হলো ধরা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

নিজের অনলাইন জন্মনিবন্ধন, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সব ধরনের কাগজপত্র দিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন তিনি। চেয়ারম্যান সনদ থেকে শুরু করে সবকিছুই একেবারে হালনাগাদ। ঠিকানাও দেয়া হয় সন্দ্বীপের। অথচ তিনি রোহিঙ্গা। পরিচয় গোপন করে মিথ্যা কাগজপত্র দিয়ে পাসপোর্ট করতে এসে ধরা পড়েন রোহিঙ্গা তরুণী। গতকাল রোববার নগরীর মুনসুরাবাদস্থ পাসপোর্ট অফিসে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মরজিয়া আক্তার নামের ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী রোববার মুনসুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদনপত্র নিয়ে আসেন। তিনি নিজের পিতার নাম আবদু শামী এবং মাতার নাম মাহমুদা খাতুন উল্লেখ করে সন্দ্বীপের বাউরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইসলামের বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে তিনি নিজের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয়তা সনদ দাখিল করেন। বেলা ১২টা নাগাদ মুনসুরাবাদ বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের ২ নং কাউন্টারে উপস্থিত হলে তার ইন্টারভিউ নেয়ার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে ৪ নং কাউন্টারে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃক সরবরাহকৃত এসএমএসের মাধ্যমে তার আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট) যাচাই করলে দেখা যায় তিনি বিগত ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর নিজের নাম মরজিয়া, বয়স ১৫ বছর, পিতা মোহাম্মদ রফিক উল্লেখ করে কঙবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উক্ত তরুণীকে বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাঈদের কাছে নিয়ে গেলে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করে জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসে তিনি বাংলাদেশী পাসপোর্ট করার চেষ্টা করছিলেন। তার পিতা ও মাতা বর্তমানে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। আটক তরুণীকে ডবলমুরিং থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনার ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমরা খুবই ঝামেলার মধ্যে রয়েছি। নানাভাবে কাগজপত্র যোগাড় করে তারা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করছে। এত বিশ্বাসযোগ্যভাবে সব কাগজপত্র যোগাড় করে যে প্রথম দেখায় তাদের সন্দেহেরই সুযোগ থাকে না। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই সজাগ রয়েছি। যে কোনো রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করার মতো প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাটা শুরুর একদিন পরই আবার বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষা বিভাগের কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট সিভিল সার্জন