শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন

| শনিবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। টাকা পয়সা, পদ-পদবির বাহার কোনোটা দিয়ে এই মহৎ পেশা, কাজটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। একজন শিক্ষক যখন মোমবাতির মতো জ্বলে তখন সে আলো অন্যকে দান করাও আবশ্যক। আলোকিত মানুষ তৈরি করা সামাজিক দায়বদ্ধতা, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। দেশকে সুশিক্ষিত জাতি উপহার দেওয়া মানে উন্নত দেশ গড়া। কিন্তু আজকে দুঃখজনক কথা হলো শিক্ষকতা পেশা দেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনো গ্রেড আর ক্লাসের ভিত্তিতে পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না, যেটা শিক্ষকদের জীবিকা নির্বাহে কঠিন করে তোলে। অথচ যারা দিনরাত পরিশ্রম করছে সচেতনতায় সুপরিবর্তনের ঢেউ তুলতে। বদলাতে পারছি আপন আলোতে, ছড়াচ্ছে মেধার স্ফুরণ কিন্তু আজকে তারা এক বৈষম্যের শিকার। আমাদের হাতে-কলমে শিক্ষা, সন্তানের মতো আদর শাসনে বড় করছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের হাতেই যদি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর আমলারা তৈরি হয়ে ফার্স্ট ক্লাস হয়, তাহলে শিক্ষকেরা ওদের মানুষ করে, জায়গামতো পৌঁছে দিয়ে থার্ড ক্লাস হয়ে রইলাম আজন্ম কী জন্য? কী লজ্জা! শিক্ষকদের যাঁরা নিয়ম করে নিচে ফেলে রাখেন, যাঁদের হাতে অবোধ শিশুর ভবিষ্যৎ চলার পথ তৈরি হচ্ছে, তাঁদেরই চরম অবহেলা, অবমাননা কেন করা হচ্ছে, সুধী মহলের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম। আশ্চর্যের বিষয় হলো স্বাধীনতার এত বছর পরেও এত বড় একটি বিশাল শিক্ষক কর্মী বাহিনীর নেই কোনো নিজস্ব চিকিৎসা ব্যবস্থা, নেই কোনো প্রাথমিক শিক্ষা হাসপাতাল, নেই নিজস্ব সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য-সামগ্রির জোগান! তাই শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন।

মাজহারুল ইসলাম শামীম
শিক্ষার্থী
ফেনী সরকারি কলেজ

পূর্ববর্তী নিবন্ধজহুর হোসেন চৌধুরী : নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিক
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকুক ব্যবসা মুক্ত