শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড- এই প্রবাদ সবাই জানি। জাতির উন্নতি-অগ্রগতি শিক্ষার উপর নির্ভর করে। সেই শিক্ষা দান করেন একজন শিক্ষক। শিক্ষক হচ্ছে জাতি গড়ার কারিগর। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজ সেই জাতি গড়ার কারিগররা ভালো নেই। তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে সবসময় বঞ্চিত হয়েছে। এতো লাঞ্ছনা বঞ্চনার মাঝেও তারা জাতির জন্য নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন। তবুও বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নষ্ট রাজনীতির চুক্ষুশূল হচ্ছে শিক্ষক সমাজ। তারা হত্যার শিকার হচ্ছে। মারধরের শিকার হচ্ছে নিয়মিত। কয়েক সপ্তাহে আগে নিজ ছাত্রের হাতে খুন হয়েছে আশুলিয়ার উৎপল কুমার নামে একজন শিক্ষক। এমপি কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়েছে একজন অধ্যক্ষ।
যেখানে একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি শিক্ষককে সম্মান দেয়ার কথা; সেখানে তার হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছে। আর শিক্ষক দোষী হলে তাকে বাংলাদেশের আইন আছে। আইন তার বিচার করবে। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি আইন হাতে নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার কতটুকু ন্যায়সঙ্গত তা প্রশ্নের দাবি রাখে। একজন এমপির হাতে একজন শিক্ষকের লাঞ্ছনা কখনো কাম্য নয়। এটা সমাজে এবং রাষ্ট্রের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। আজকে একজন পর দিন আরেকজন- এভাবে নষ্ট রাজনীতির করালগ্রাসে ধ্বংস হবে শিক্ষা ব্যবস্থা। তাই আইনের চোখে অপরাধী যে হোক না কেন তার বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু কেউ আইন হাতে নিয়ে বিচার করবে, লাঞ্ছিত করবে, তা কখনো কাম্য নয়। শিক্ষককে অপদস্ত করার বিরুদ্ধে সকলের সোচ্চার হওয়া জরুরি।
ইমরান উদ্দিন
শিক্ষার্থী,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়