শাহ আমানত বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি বন্ধ করা হোক

| শুক্রবার , ১৮ নভেম্বর, ২০২২ at ৪:২০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক লোক প্রবাসী। আর প্রবাসীদের কষ্টমাখা ঘামে ওইসব পরিবার যেমন সুখের পরশ পায় তেমনি দেশও লাভ করে বৈদেশিক মুদ্রা। আর দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান প্রথম সারিতে। সম্প্রতি সরকার দেশে প্রেরিত অর্থের ভিত্তিতে কয়েকজন প্রবাসীকে সম্মাননা দিয়েছেন। অথচ প্রবাসীরা দেশে ফেরত আসাকালীন সময় প্রতিনিয়ত বিমানবন্দরে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তার অসদাচরণ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশের সাথে দালাল ও টাউট শ্রেণি পদে পদে তাদের হয়রানি করে। হাতিয়ে নেয় মূল্যবান জিনিসপত্র। নগদ ডলার, পাউন্ড চায়। না দিতে পারলে হেনস্তার শিকার হতে হয়। অথচ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া থাকলেও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না এ হয়রানি। তাদের ওপর এই হয়রানি শুরু হয় বিমান বন্দরে পা রাখার পর থেকেই। অপরদিকে বিমান বন্দরের টার্মিনালের বাইরে প্রবাসীদের আত্মীয়-স্বজন অনেক সময় অভ্যর্থনা জানাতে আসেন। তাদেরও হতে হয় নিয়মিত নিগ্রহের শিকার। কাস্টমস, পুলিশ ও টাউট-বাটপাড়দের অত্যাচারে তারা দাঁড়াতে পারেন না। বাইরে অপেক্ষমাণ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার চালকদের অত্যাচারও সীমাহীন। দুইশ’ টাকার গন্তব্যের ভাড়া তারা এক হাজার টাকা পর্যন্ত চেয়ে বসে। লাগেজ নিয়ে টানাটানির ফলে তৈরি হয় এক অপমানজনক পরিস্থিতি। বিমান বন্দরে কিছু নামধারী ভিক্ষুক আছে যাদের কে বিদেশি মুদ্রা ছাড়া বাংলাদেশি টাকা দিলে অশ্লীল ভাষায় কথা বলে। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য কেউ আছে বলে মনে হয় না। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বিমান বন্দরে প্রবাসী হয়রানী বন্ধ করা হোক।
শরীফ হাসান
চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারুল হক : চিত্রকলার বিকাশে এক অনন্য পথিকৃৎ
পরবর্তী নিবন্ধআমরা ফিরতে চাই শান্তির নীড়ে