আমরা ফিরতে চাই শান্তির নীড়ে

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ | শুক্রবার , ১৮ নভেম্বর, ২০২২ at ৪:২০ পূর্বাহ্ণ

প্রতিনিয়ত শোধ দিচ্ছি বহিবিশ্বের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়। তৈল সমাধির মরণ কামড়ে দিশাহীন জনতা। মহা কাব্যের পংক্তির মতো প্রতিটি পণ্যে লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির আগুন। সুযোগ লুটছেন ব্যবসায়িরা। মরছে দেশের সর্বসাধারণ। দাম দৌরাত্ম্যে ক্রেতারা পাগলা ঘোড়ার মত ছুটছে, অস্বস্তিতে ভুগছে। মনের কথা কাকে বলবেন? পণ্যের গায়ে গতরে ইচ্ছে মাফিক মূল্য নিধারনের অতিরিক্ত দাম লিখে দিয়ে ক্রেতা ভুগছেন দৈন্যতায়। অনেক ক্রেতা মাথায় হাত দিয়ে জানতে চাইছেন-কী হলো, এসব কী হচ্ছে?
ভোক্তা অধিকার হারা হয়ে ছন্নছাড়া ঘুরছেন। মনে হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘুমের ভান ধরে জন তামাশা দেখছেন। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ার মত মাঠে দেখা গেলেও অমাবশ্যার চাঁদ হয়ে নিরুদ্দেশ হচ্ছেন। হায়রে মধ্যবিত্ত নিম্নবর্গের মানুষের দুর্দশা। সয়াবিনসহ সব তৈল বিদেশ নির্ভর। নিজস্ব উৎপাদন না থাকায় দুর্গমতা বাড়ছে শুধু বাড়ছে। বোধগম্য হয় না পাশাপাশি অন্য পণ্য কিছুটা দাম বাড়লেও তবে এমন বেহাল অবস্থা কেন? পণ্য মালিকরা বিভিন্ন রকমারী গল্প এটে নাগরিককে দুর্বোধ্য সাগর পাড়ি দিতে দামের উত্তাপের শিখা কি জ্বালিয়ে রাখছেন? বাজারে গেলে চক্ষু ছানাবড় করে নিরাশ হয়ে ফিরি। পারিবারিক বাজেট মিলানোর জটিল সমীকরণে হোঁচট খাচ্ছি। কী হবে দেশের হাজার লক্ষ কোটি জনতার? পণ্যের দাম বৃদ্ধির এমন গড্ডালিকা প্রবাহে চরণ বুলিয়ে কি বলা যায়
‘তোরা যে যা বলিস ভাই/ আমার সোনার হরিণ চাই’। আমরা ধারণ ক্ষমতা হারিয়েছি। প্লীজ জনতাকে আর জিম্মি করো না। আমরা চাই ভালোবাসার বসত ঘর। দ্রব্যমূল্যের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ। চাই উন্নয়নের নিমিত্তে মুক্তির আস্বাদ। মুক্তি আসুক, অবসান হোক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার। আমরা ফিরতে চাই শান্তির নীড়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাহ আমানত বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি বন্ধ করা হোক
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনা ও এবারের প্রেক্ষাপট