তোমার উত্থান মাটিদানা, আবারও মাটিভস্ম হয়
রক্তপাঁজর যদি গান গায়-জেনো আমার
বিরহকাল ছিলো না প্রপঞ্চক।
যতোটা ঘৃণা ছিলো তা এক তুমুল বাহানা
ভেতরে মাতম তুলে কর্ণফুলী নায়ে ভেসে যায়।
নদী না ভাসে নাও- কে যাবে ভেদের ব্যাখ্যায়!
তোমার রক্তদানা মগজের শিরায় বেঁধা কাঁকর
কথার আকুতি ঝরে ইশ্বরও তোমার মতো বোবা
আমার বায়াত আজ তোমাকে নিরিশ্বরে সঁপে
বলি- আমাদের ছেঁড়া জিভ,কথা কী বলেছি
কখনো? সময়ের শাঁস থেকে ক্রৌঞ্চ রক্ত ঢেলে দেয়!
রক্তের আখর বেয়ে তোমার কবিতার বাড়িঘর
বিষুবরেখার নিচে ঘুমায়ে পড়েছে যে শব্দের মোকাম
তুমি সেই তবরুক,শব্দের রুহানি তোমার জবান
যা কিছু বলেছো হায়- তার বেশি অনুক্ত বেদনা
মাটিতে সিক্ত বীজ,ফলিয়েছো বীর্য বাসনা!
তোমার জিহ্বাফলক কলমের দামে আজ কেনা
আমি তার সৌরিক, ভজনেপানে মাতাল জানানা।