শামসুজ্জামান খান : লোকসাহিত্য গবেষক

| বৃহস্পতিবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

শামসুজ্জামান খান। অধ্যাপক, লোক সংস্কৃতি ও পল্লীসাহিত্য গবেষক এবং বাংলা একাডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক। শামসুজ্জামান খানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্ম হল ‘বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা’ শিরোনামে ৬৪ খণ্ডে ৬৪ জেলার লোকজ সংস্কৃতির সংগ্রহমালা সম্পাদনা এবং ১১৪ খণ্ডে বাংলাদেশের ফোকলোর সংগ্রহমালা সম্পাদনা। তিনি তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার তাকে একুশে পদকে ভূষিত হন। শামসুজ্জামান খানের বাবা এমআর খান কলকাতার সরকারি বাড়িতে অনুবাদক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তাঁর দাদার দাদা এলহাদাদ খান এবং তার ভাই আদালাত খান ঔপনিবেশিক ভারতে অত্যন্ত প্রশংসিত নামী বুদ্ধিজীবী ছিলেন। শামসুজ্জামান খান মাত্র দুবছর বয়সে বাবাকে হারান। তাঁর মা এবং দাদি তাঁকে লালন-পালন করেন। শামসুজ্জামান খান ১৯৬৩ এবং ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে অনার্স এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৬৪ সালে মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। একই বছর তিনি জগন্নাথ কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। শামসুজ্জামান খান হরগঙ্গা কলেজে অধ্যপনার মধ্যদিয়ে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। শামসুজ্জামান খান জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৮-৭৩) এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯৯-২০০১) এর শিক্ষক ছিলেন। ২৪ মে ২০০৯ সালে তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হন। তার পদের মেয়াদ তিনবার বাড়ানো হয় যা ২৩ মে ২০১৮ সালে শেষ হয়। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১ অক্টোবর ২০১৮ সালে শামসুজ্জামান খান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। একুশে পদক ( ২০০৯), স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৭) সহ তিনি আরো অনেক সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হন। অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার (১৯৮৭); কালুশাহ পুরস্কার (১৯৮৭); দীনেশচন্দ্র সেন ফোকলোর পুরস্কার (১৯৯৪); আব্দুর রউফ চৌধুরি স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯৮); দেওয়ান গোলাম মোর্তজা পুরস্কার (১৯৯৯); শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় গবেষণা পুরস্কার (২০০১); মীর মশাররফ হোসেন স্বর্ণপদক (২০০৪)। অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকায় করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধআজ নববর্ষ