শামসুজ্জামান খান : বিনম্র প্রয়াণলেখ

মাহবুবুল হক | শুক্রবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২১ at ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

আমাদের সবার প্রিয় শামসুজ্জামান খানকে আমি দীর্ঘকাল ধরে জামান ভাই বলে জানি। তাঁর সঙ্গে প্রথম পরিচয় ১৯৬৯ সালের দিকে। তার পর দীর্ঘ পাঁচ দশক কাল ধরে নানা সভায়, নানা অনুষ্ঠানে, নানা কাজে, বাংলা একাডেমিতে, বিদেশযাত্রায় জামান ভাইকে আমি পেয়েছি অগ্রজপ্রতিম পরম শুভানুধ্যায়ী হিসেবে। সদা মৃদুভাষী, পরম সজ্জন, গভীর রসবোধসম্পন্ন ও অত্যন্ত হৃদয়বান তিনি। তাঁর আন্তরিকতা, সৌজন্য ও প্রীতিতে আমি ধন্য।
১৯৮০-র দশকে জামান ভাই বাংলা একাডেমিতে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তাঁর বহুমুখী সৃজনশীল কর্মতৎপরতার মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছিল বাংলাদেশে লোকসংস্কৃতি বা ফোকলোর চর্চা। তিনি এদেশের ফোকলোর চর্চাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্যে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হন। সে সময়ে তিনি বাংলা একাডেমিতে পর পর তিনটি আন্তর্জাতিক মানের ফোকলোর কর্মশালার অয়োজন করেছিলেন।
সে ১৯৮৭ সালের কথা। দ্বিতীয় কর্মশালা চলেছিল ৩রা থেকে ২৪শে ফেব্রুয়ারি। ফিনল্যান্ডের ফোকলোরবিদ লোরি হোংকো, মার্কিন ফোকলোরবিদ হেনরি গ্লাসি, ভারতীয় ফোকলোরবিদ জওহরলাল হান্ডু, ও পাকিস্তানি ফোকলোরবিদ আকসি মুফতি কর্মশালায় আধুনিক ফোকলোর চর্চা ও পদ্ধতির নানা দিক তুলে ধরেছিলেন। সে কর্মশালায় আমাদের দেশের ফোকলোর বিশেষজ্ঞ ও আলোচক হিসেবে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন আতোয়ার রহমান, আশরাফ সিদ্দিকী, মনিরুজ্জামান, ওয়াকিল আহমদ, আবদুল হাফিজ প্রমুখ। তখন দেখেছি কর্মশালাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্যে সারাক্ষণ কী ব্যস্ত থেকেছেন জামান ভাই। দিনের প্রতিটি কার্যক্রম ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সে দিকে তাঁর সতর্ক নজর ছিল। আবার চায়ের বিরতিতে, খাওয়ার সময়ে আসর জমাতে তাঁর জুরি ছিল না। কাজপাগল অথচ আমোদপ্রিয় মানুষ হিসেবে জামান ভাইয়ের পরিচয় সেই প্রথম আমি পাই।
জামান ভাই যখন কোনো কাজে হাত দেন, তখন ঐ কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার দিকেই কেবল দৃষ্টি দেন না, তাকে নানাদিক থেকে সমৃদ্ধ করার দিকেও তাঁর আন্তরিক নজর থাকে। মূল কাজের সঙ্গে সম্ভব মতো শাখা-প্রশাখা বের করাতেও তিনি ওস্তাদ। কয়েকদিন যেতেই একদিন জামান ভাই আমাকে ডেকে নিলেন। বললেন, এই যে বিদেশি ফোকলোর বিশেষজ্ঞরা এসেছেন, রাজধানী ঢাকাই কেবল এঁদেরকে পাবে, সেটা ঠিক না। আপনারা চট্টগ্রামে একটা সেমিনার করতে পারেন কি না দেখেন। আমি প্রস্তাবটা লুফে নিলাম।
দুদিনের জন্যে চট্টগ্রাম গেলাম। বাহাদুর ভাইয়ের (শামসুল হোসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের প্রধান) সঙ্গে পরামর্শ করে কাজের পরিকল্পনা নিলাম। এভাবেই সেবার লোকসাহিত্য সংগ্রাহক আশুতোষ চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আন্তর্জাতিক ফোকলোর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রাম শহরের সেন্ট প্লাসিডস স্কুল মিলনায়তনে। তাতে আমি প্রবন্ধ উপস্থাপন করি। মার্কিন ফোকলোরবিদ হেনরি গ্লাসি, পাকিস্তানি ফোকলোরবিদ আকসি মুফতি, জামান ভাই, চট্টলতত্ত্ববিদ আবদুল হক চৌধুরী ও বাহাদুর ভাই আলোচনায় অংশ নেন। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের উদ্যোগে কলাভবনের গ্যালারিতেও আর একটি সেমিনার আয়োজন করেছিলেন বাহাদুর ভাই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের কার্যক্রম উন্নয়নে ফোর্ড ফাউন্ডেশনকে যুক্ত করার কাজেও জামান ভাই উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিলেন। সে সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিশ লক্ষাধিক টাকার তহবিল পেয়েছিল। তা দিয়ে জাদুঘরের গ্যালারি উন্নয়ন, কনজারভেশন ল্যাবরেটরি ও গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, ভাস্কর্য ক্যাটালগ প্রকাশ ইত্যাদি উন্নয়ন কাজ হয়েছিল।
জামান ভাই মনেপ্রাণে যে একজন সৃজনশীর সংগঠক সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সে সম্পর্কে আমার আগের অভিজ্ঞতা আরও দৃঢ় হয় ২০০০ সালে। জামান ভাই তখন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক। জাতীয় জাদুঘরে সেবার প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জামান ভাই শামসুল হোসাাইন ও আমাকে ‘দেশে দেশে বর্ণমালা’ শীর্ষক প্রদর্শনী করার জন্যে আমন্ত্রণ জানান।
প্রদর্শনী শুরু হওয়ার আগে আমাদের হাতে ছিল মাত্র তিনটি দিন। আমরা অক্লান্তভাবে দিনরাত পরিশ্রম করতে লাগলাম প্রদর্শনী দাঁড় করাতে। জামান ভাইও তার অফিসিয়াল চেয়ার ছেড়ে সোফায় এসে বসলেন আমাদের সাথে। আসলে জামান ভাই যখন কোনো কাজ হাতে নেন তখন তিনি তাতে পুরোপুরি একাত্ম হয়ে পড়েন। নেমে আসেন কর্মী ও সংগঠকের কাতারে।
সে বছর দেশে দেশে বর্ণমালা প্রদর্শনীটি দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শকের ভিড়। জাতীয় জাদুঘরে কোনো প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে আর কখনো এত লোক সমাগম হয়েছিল বলে মনে হয় না। পরের বছরও জামান ভাই আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মহান একুশ উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরে আবার প্রদর্শনী আয়োজনের জন্যে। সেবার প্রদর্শনীতে যুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষাবৈচিত্র্য। সে বছর প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে সে প্রদর্শনীর বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব জামান ভাই দিয়েছিলেন আমার ওপর। সে বছরও প্রদর্শনীতে বিপুল দর্শকের সমাগম হয়েছিল।
জামান ভাই বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হবার পর একাডেমিতে বাংলা বিদ্যা চর্চার সুবাতাস বইয়ে দেন। তিনি যেসব সুদূরপ্রসারী নতুন ধরনের কর্মপরিকল্পনা ও লক্ষ্য সামনে রেখে বাংলা একাডেমির হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনায় সচেষ্ট হয়েছিলেন সেগুলির মধ্যে রয়েছে : প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও ব্যবহারিক বাংলা ব্যাকরণ প্রকল্প, বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান প্রকল্প, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে লোকসাহিত্যের উপাদান সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রকাশনা; আঞ্চলিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্মেলন; আন্তর্জাতিক ফোকলোর সম্মেলন; ভাষা অন্দোলন জাদুঘর, জাতীয় সাহিত্য জাদুঘর ও জাতীয় লেখক জাদুঘর প্রতিষ্ঠা; বাংলা একাডেমি আর্কাইভস স্থাপন; বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস রচনা; খ্যাতনামা সাহিত্য-সংস্কৃতিসেবীদের রচনা সংগ্রহ ও প্রকাশ; আঞ্চলিক ও জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন; বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থ প্রণয়ন ও প্রকাশ; লোকজ সংস্কৃতি জরিপ; লোকসংস্কৃতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ; মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস প্রণয়ন ও প্রকাশনা ইত্যাদি। বাংলা একাডেমির নিত্য-নৈমিত্যিক প্রাতিষ্ঠানিক কাজের বাইরেও বিভিন্ন ধরনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে ছিল তাঁর নিরলস প্রয়াস। এ সব কার্যক্রম থেকে সহজেই ধারণা করা যায় কত ব্যাপক ও বহুমুখী কাজে সত্তরোর্ধ্ব বয়সেও সদাতৎপর ছিলেন জামান ভাই। এছাড়া নবপর্যায়ে উত্তরাধিকার পত্রিকা ও বাংলা একাডেমি বুলেটিন প্রকাশ করার ব্যবস্থা করে নতুন প্রজন্মের লেখক-পাঠকদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিলেন তিনি।
জামান ভাই যখন কোনো পরিকল্পনা করেন তখন নিরন্তর তিনি কাজের প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি নিয়ে ভাবেন। আর যখন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে যান তখন প্রতিটি পর্যায়ে কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন, সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি চিহ্নিত করেন। বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে যুক্ত থেকে তাঁর সম্পর্কে আমার এ ধারণা হয়েছে।
এ পরিকল্পনা নেওয়ার আগে তিনি একদিন আমাকে ফোনে বললেন : মাহবুব, রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষার যে নিজস্ব ব্যাকরণের কথা ভেবেছিলেন সে ব্যাকরণ তো এখনও হল না। আমি একটা উদ্যোগ নিতে চাই। আপনাকে কিন্তু থাকতে হবে। আমি সমর্থন করে বললাম, এটা অসাধারণ কাজ হবে। ঐতিহাসিক কাজ হবে। আমার ভালো লাগছে যে, আপনি এমন একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ করার কথা ভেবেছেন আর আমাকে তার সঙ্গে যুক্ত করতে চেয়েছেন। এর পর এ কাজের প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে তিনি বহুবার আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন । বাংলা ভাষার নিজস্ব ব্যাকরণ রচনার জন্যে প্রকল্প প্রণয়ন, ঢাকায় বাংলা একাডেমি ও কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমিতে ব্যাকরণ বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা, প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ প্রণয়নের পথমানচিত্র তৈরি, দুই বাংলার বিশিষ্ট ভাষা-গবেষকদের লেখক হিসেবে যুক্ত করা, সম্পাদনা পরিষদ গঠন, লেখা সংগ্রহ ও সম্পাদনা ইত্যাদি প্রতিটি কাজে তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে যুক্ত ছিলেন। বাংলা ভাষা-চর্চা ও ভাষা-পরিকল্পনার ইতিহাসে তাঁর এই সাংগঠনিক ভূমিকা মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।
জামান ভাই দীর্ঘকাল ধরে সভা-সমাবেশে সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ে আলোকপাত করে আসছেন। তাঁর লেখায় ও আলোচনায় বাঙালি জাতিসত্তা, বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপিত হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে সাংস্কৃতিকভাবে সচেতন করা, তাঁদের মধ্যে দেশাত্মবোধ ও বৈশ্বিক চেতনা জাগিয়ে তোলা, অপসংস্কৃতি ও ধর্মান্ধতা সম্পর্কে সচেতন করা, অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী মানস গঠনে উজ্জীবিত করা ইত্যাদিকে তিনি ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। আমরা যতবারই তাঁকে চাটগাঁয় আমন্ত্রণ জানিয়েছি তিনি আমাদের ফিরিয়ে দেন নি। যতবারই এসেছেন তাঁর অসাধারণ সুন্দর গোছালো বাচনে, মননশীল চিন্তাধারায়, সরস মন্তব্যে এবং প্রণোদনা জাগানিয়া বক্তব্যে শ্রোতা-দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।
শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে দীর্ঘ কর্মজীবনে জামান ভাই গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আদর্শকে সর্বদা সমুন্নত রেখেছিলেন। চিন্তা ও কর্মে নিরন্তর লালন করেছেন অসাম্প্র্রদায়িক মানবতাবাদী চেতনাকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে বুদ্ধিবৃত্তির চর্চায় তিনি সব সময় তিনি ছিলেন নিজেকে হালনাগাদ ঋদ্ধ করায় প্রয়াসী। বাংলাদেশের সংস্কৃতির অঙ্গনে পাঁচ দশক কাল ধরে তিনি বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির চর্চায় ছিলেন নিবিষ্টভাবে যুক্ত। এ ক্ষেত্রে তিনি একাধারে কর্মী, সংগঠক ও রূপকল্পক। প্রায় তিন দশক তিনি লোকসংস্কৃতি চর্চা করছেন। এ ধারায় তিনি আধুনিক ফোকলোর চর্চার অন্যতম পুরোধা হিসেবে মান্য।
জামান ভাই চিন্তা ও কর্মে ছিলেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলন সংগ্রামের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। বাঙালি সংস্কৃতির এক মহান স্তম্ভ। আমাদের জাতীয় জীবনের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিমণ্ডলে একজন অগ্রগণ্য বুদ্ধিজীবী জামান ভাই। সংস্কৃতির শক্তিতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে নবপ্রেরণায় এগিয়ে নেয়ার কাজে তিনি ছিলেন সদাতৎপর। আশির কাছাকাছি বয়সেও এ ক্ষেত্রে এক অদম্য পথযাত্রী ছিলেন তিনি।
মর্মান্তিক দুঃখের বিষয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে পয়লা বৈশাখ ও পয়লা রমজানে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলেন তিনি। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনার ভাষা আমাদের জানা নেই।
করোনা মহামারী সামলাতে মানুষকে ঘরে আটক রাখায় সরকারি নির্দেশের মধ্যে মৃত্যু হওয়ার তাঁকে শেষ বিদায় জানানোর সুযোগ হলো না তাঁর অসংখ্য সহকর্মী, আত্মীয়বর্গ ও শুভানুধারীসহ সাংস্কৃতিক জগতের অগণিত সহযোদ্ধার। অমোচনীয় এই দুঃখ সত্ত্বেও তাঁর কর্ম-অবদান আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে বহুদিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোকসংস্কৃতির বটবৃক্ষ
পরবর্তী নিবন্ধঅসহায়দের মুখে হাসি ফোটাতে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টার প্রয়োজন