শাটলে বসা নিয়ে বিতণ্ডা রাতে হলে মারামারি

চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৮

চবি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ

শাটলে বসাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ। ঘণ্টাখানেক ধরে চলা এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখার সময় রাত ১২টায় সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হল ও ভিএঙের অনুসারীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জানা গেছে, সাড়ে ৫টার শাটল ট্রেনে বাকবিতণ্ডার মধ্য দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ ঘটনার জেরে রাত সাড়ে ৮টার শাটল বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে এসে পৌঁছালে সেখানে উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর পরপরই ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে শাহজালাল হল থেকে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা গিয়ে সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত ভিএক্স গ্রুপের কর্মীদের উপর হামলা চালালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও উভয় পক্ষের কর্মীদের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়া দিতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, সিঙটি নাইন গ্রুপের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মামুন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. মানিক ও ভিএঙ গ্রুপের বোটানি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহ পরান।

এ বিষয়ে সিঙটি নাইন গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুল হক সাইদ বলেন, শাটল ট্রেনে জুনিয়রদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। আমাদের ছেলেপিলেদের তারা সোহরাওয়ার্দী হল থেকে বের করে দিয়েছে। প্রশাসনের নিকট দাবি থাকবে, আমাদের ছেলেরা যাতে সোহরাওয়ার্দী হলে ফিরে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করে।

ভিএঙ গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদেক হোসেন টিপু বলেন, ওরা শাটল ট্রেনে আমাদের এক জুনিয়রকে বসতে দেয় নাই। পরে আরেক জুনিয়র শাহ পরাণের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে। আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাড়ই পাড়া থেকে ২২০০ ইয়াবাসহ দুই কারবারি গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধসম্পাদককে বাদ দিয়ে একাই সভা ডাকলেন সভাপতি