চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুল হক একাই সংগঠনটির কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভা আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজিব কুমার ঘোষকে বারবার অনুরোধ করেও সাড়া না পাওয়ায় তিনি আগামী রোববার সভা আহ্বান করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন। গত বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেন সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুল হক। এতে বলা হয়, নিম্নস্বাক্ষরকারী কর্তৃক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে উপর্যুপরি অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি সভা আহ্বান না করায় কার্যনির্বাহী পরিষদের অধিকাংশ সদস্যের অনুরোধক্রমে সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে আমি নিজেই রোববার দুপুর ১২টায় শিক্ষক সমিতি কার্যালয়ে একটি সাধারণ সভা আহ্বান করছি।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত অভিযোগটি অস্বীকার করে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজিব কুমার ঘোষ বলেন, উনি ৪ জানুয়ারি সভা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৪ তারিখ আমার সমস্যা থাকাতে আমি অনুরোধ করেছিলাম সভাটা ৮ জানুয়ারি দেয়ার জন্য। তিনি ৮ তারিখেই মিটিংটি দিয়েছেন এজন্য আমি উনাকে টেলিফোনে ধন্যবাদ জানিয়েছি। কিন্তু আমি সাড়া না দেয়ার যে অভিযোগটি তিনি দেখিয়েছেন এটা সম্পূর্ণ ভুল। তিনি আরো বলেন, আমি নিজেই নিয়মানুযায়ী অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় হাতে রেখে সভা আহ্বানের বিজ্ঞপ্তি দিতাম। কিন্তু তার আগেই তিনি নিজে সভা আহ্বান করে ফেলেছেন।
অপরদিকে সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুল হক বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী সভা আহ্বানের কথা সাধারণ সম্পাদকের। আমি তাকে ১ জানুয়ারি মেইল করেছিলাম ৪ জানুয়ারি সভা আহবানের কথা জানিয়ে। আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও তা জানিয়েছিলাম। ২ তারিখ আবার রিমাইন্ডারও দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। ৩ তারিখে এসে উনার সাথে আমার ফোনে কথা হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে সভার ঘোষণা দিতে হয়। তাই ৪ তারিখে দিতে গেলে ৪৮ ঘণ্টা সময় আমরা পাচ্ছি না। সে কারণে আমি উনাকে পরামর্শ দিলাম ৫ জানুয়ারি সভা ডাকার জন্য।
কিন্তু উনি জানালেন যে তিনি ৫ তারিখ থাকতে পারবেন না। যার ফলে আমি বললাম তাহলে ৪ তারিখেই জরুরি ভিত্তিতে সভা ডাকেন। কিন্তু দুপুর পেরিয়ে গেলেও তিনি সভা আহ্বানের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। অপরদিকে কার্যনির্বাহী সদস্যরা আমাকে বারবার অনুরোধ করছে সভা আহ্বানের জন্য। এদিকে ৫ তারিখ সভা ডাকলে সাধারণ সম্পাদক থাকতে পারবেন না আবার ৪৮ ঘণ্টার শর্তও পূর্ণ হবে না। আবার ৬ আর ৭ তারিখ দুদিন ছুটির দিন পড়ে গেছে। তাই ৮ জানুয়ারি সভা আহ্বান করতে হয়েছে। এখানে সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শে আমি ৮ তারিখ সভা ডেকেছি এটা ভুল কথা।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর ও ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধি না থাকার বিষয়ে দুটি পাল্টাপাল্টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুল হক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সজিব কুমার ঘোষ।
