লাখ টাকাতেও সুখ নেই

| শুক্রবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ

‘আমি যে সময় ১ টাকা প্রোগ্রাম করতাম, মানুষের বাড়িতে যাইতাম, সারা রাইত গান গাইতাম। বাড়ি ফিরার সময় আমাকে আধাশের চাউল তুলে দিতো। তখন যেমন ছিলাম এখন পঞ্চাশ হাজার থেকে লাখ টাকা পাই তবু আগের থেকে এখন বেশি অভাবী। কথাগুলো বলেন, লোকগানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি। কুদ্দুস বয়াতির গানের শুরুটা খুব সহজ ছিল না। অনেক কষ্ট করেই গান শিখতে হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, জালটাল বাইয়া যখন বইছি তখন রাত্র হইয়া গেছে গা। সবাই ঘুমিয়ে গেছে। এ সময় আমি গান আরম্ভ করছি ‘দুঃখে দুঃখে গেল এ জীবন, পাগল মন মনরে আমার দুঃখে দুঃখে গেল এ জীবন। অসংখ্য জনপ্রিয় গান গেয়ে শ্রোতাদের মনে স্থান করে নিয়েছি।
বাংলাদেশ ছাড়াও ৪৭টি দেশে স্টেজ শোয়ে গান পরিবেশন করেছেন কুদ্দুস বয়াতি। তবে এ শিল্পী এখন অনেকটাই অন্তরালে চলে গেছেন। তাকে এখন আর খুব বেশি দেখা যায় না। অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে জীবন চলছে তার। এক টাকা পারিশ্রমিকে গান শুরু করলেও এখন ১ থেকে দেড় লাখ টাকা পারিশ্রমিক নেন এই শিল্পী। কিন্তু তারপরও আগের তুলনায় তার এখন আরো বেশি অভাব। তার ভাষায় পৃথিবীতে কেউ সুখি নয়। আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীতে যত লোক আছে সবাই দুঃখী। সুখ নামে কোনো শব্দ এ পৃথিবীতে নেই। যে দশটা-বিশটা বাড়ির মালিক সেও আশা করে আরো দশটা বাড়ি করার। এজন্য বলি, পৃৃথিবীতে সুখের কোনো খবর কারো কাছে নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রেম করছেন কিয়ারা
পরবর্তী নিবন্ধসেরা গায়িকা মমতাজ