র‌্যাব মানুষের অধিকার রক্ষা করে : মুখপাত্র

| রবিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বাহিনী বরং মানুষের ‘অধিকার রক্ষায়’ কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারির পরদিন গতকাল ঢাকার কারওয়ান বাজারে অন্য এক ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে আসা র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন।
ওয়াশিংটনের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় এর আগে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, মানুষের অধিকার রক্ষাই র‌্যাবের প্রধান দায়িত্ব। র‌্যাব বড় মানবাধিকারকর্মী। খবর বিডিনিউজের।
‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ ঘটনায় র‌্যাবের সাবেক প্রধান, বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ এবং বর্তমান প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। পুলিশের বিশেষ ইউনিট হিসেবে ২০০৪ সালের পর থেকেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সমালোচনায় রয়েছে র‌্যাব। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে র‌্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, তারা সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি দেখেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না। আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো কিছু পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, মানুষের ‘অধিকার রক্ষায়’ কাজ করার পাশাপাশি জঙ্গি ও জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়ে র‌্যাব যে মানবিকতা দেখিয়েছে, তা নজিরবিহীন। এখন অবধি ৪২১ জন জঙ্গি ও জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা কি মানবিকতা নয়? এই আত্মসমর্পণের সুযোগ করে দেওয়া মানবিকতার একটি বড় নজির।
র‌্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, মানবাধিকার রক্ষা করে, দাবি করে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আল মঈন বলেন, যে বাহিনীর সদস্য সংখ্যা মাত্র নয় হাজার, সেই বাহিনী মানবাধিকার রক্ষায় এ পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদসহ ২৮ জন জীবন দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে এবং মানবাধিকার রক্ষায় এক হাজারেরও বেশি র‌্যাব সদস্য অঙ্গহানি হয়ে পঙ্গু হয়েছেন, দুই হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এই আত্মত্যাগ বিশ্বে আছে কিনা সন্দেহ।
করোনাভাইরাস মহামারিতে যখন কেউ লাশ দাফন করে না তখন র‌্যাব সদস্যরা এগিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। হেলিকপ্টারে করে রোগীকে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছে। র‌্যাব ত্রাণ দিয়েছে, ঘর বানিয়ে দিয়েছে, গরু দিয়ে পরিবারকে স্বাবলম্বী করেছে। এসব কর্মকাণ্ড কি মানবিকতা নয়?
র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, বিভিন্ন অভিযানে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয় র‌্যাব সদস্যদের। এ সময় আত্মরক্ষার্থে প্রতিপক্ষের সাথে গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটে। র‌্যাবের অনেক সদস্য মারা যান, পঙ্গু হন। এসবের প্রতিটি ঘটনার নির্বাহী তদন্ত হয়। কারও কোনো ত্রুটি থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে র‌্যাব ছাড় দেয় না। তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত ডোপ টেস্ট করে থাকি, যেন কোনো মাদকাসক্ত র‌্যাবের মতো এলিট বাহিনীতে থাকতে না পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুতা আমদানির ঘোষণায় এল ১০ টন কেমিক্যা
পরবর্তী নিবন্ধশীতে সবজির যতো গুণ