বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আবারও অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকে এই অনুরোধ জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমরা নাগরিক অধিকার ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেছি। মানবপাচারসহ বেসামরিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। র্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আমাদের অনুরোধ আন্ডার সেক্রেটারির কাছে পুনরায় ব্যক্ত করেছি। খবর বিডিনিউজের।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া মেলেনি। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলে আসছে, নিষেধাজ্ঞা উঠানোর প্রক্রিয়া বেশ জটিল।
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার মধ্যে গত মে মাসে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার; নির্বাচনে বাধাগ্রস্তকারীদের দেশটির ভিসা না দেওয়ার বিধি রাখা হয়েছে সেই নীতিতে। র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধের জবাবে আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া কী বলেছেন, তা অবশ্য জানাননি পররাষ্ট্র সচিব।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহসান–ই–ইলাহি, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান অংশ নেন। ওই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ও মানবাধিকার, নির্বাচন, মানবপাচার রোধ, উন্নয়ন সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক আলোচনায় আসে।