৩৭ লাখ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টসম বন্ড কমিশনারেটের এক উপ–পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার হিরু নামের ওই ব্যক্তি নগরীর লালখান বাজারের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট অফিসে কর্মরত আছেন। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এ মামলাটি দায়ের করেছেন একই কার্যালয়ের উপ–পরিচালক (সংযুক্ত) মো. ফজলুল বারী। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়–১ এর উপ–পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, অনুসন্ধানে প্রকাশ পায়, কাস্টমস কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার হিরু এক কোটি ৮৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫৬৭ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ এবং এক লাখ ৭০ হাজার ৪৯৯ টাকা মূল্যের অস্থায়ী সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা পারিবারিক ব্যয় করেছেন। সবমিলে হিরুর অর্জিত সম্পদের মূল্য দুই কোটি ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৬৬ টাকা।
এজাহারে বলা হয়, অনুসন্ধানে দেখা যায়, হিরুর অর্জিত সম্পদের বিপরীতে এক কোটি ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩৪ টাকা আয়ের উৎস পাওয়া যায়। সেই হিসেবে তিনি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ১৩১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দুদকসূত্র জানায়, মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার হিরু বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী এলাকার মৃত ওমর আলী তালুকদারের ছেলে। থাকেন নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন আবিদা পাড়া এলাকায়।
তিনি ১৯৮৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাস্টমস এঙাইজ ও ভ্যাট চট্টগ্রামে এমএলএসএস পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালের ৫ মে তিনি সিপাহী পদে পদোন্নতি পান এবং ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর উপ–পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে তিনি কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট লালখান বাজারে কর্মরত আছেন। হিরুর স্ত্রী বিষয়ে এজাহারে বলা হয়, ১৯৯২ সালের ২৯ মার্চ কুমিল্লার বুড়িচং থানার খোদাইদুলি এলাকার মেয়ে ফাতেমা খানমকে হিরু বিয়ে করেন। ফাতেমা খানও হিরুর মতো কাস্টমস, এঙাইজ ও ভ্যাট সিলেটে কর্মরত ছিলেন। এমএলএসএস হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে তিনি সিপাহী পদে কাস্টমস, এঙাইজ ও ভ্যাট চান্দগাঁওয়ে কর্মরত আছেন। দুদক কর্মকর্তা নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, মামলা তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা বা ভিন্ন কোন তথ্য পাওয়া গেলে তা আমলে নেয়া হবে।