রোজাদারকে ইফতার করানো পুণ্যময় আমল

আ ব ম খোরশিদ আলম খান | বৃহস্পতিবার , ৩০ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

কঠিন সিয়াম সাধনা শেষে সন্ধ্যায় ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসতেই নিরন্ন রোজাদারদের মুখে হাসির ঝিলিক লক্ষ্য করা যায়। প্রিয় নবী (.) বলেছেন-‘রোজাদারের জন্য আনন্দ দুটি। ইফতারের সময় আর জান্নাতে যখন আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটবে (হাদিস শরিফ)। দিনভর রোজা রেখে সূর্যাস্তের পর পানাহারের মাধ্যমে উপবাস ভঙ্গ করাই হলো ‘ইফতার’। ইফতার মানে ভঙ্গ করা। ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উত্তম। ইফতারি সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা এবং সঠিক সময়ে ইফতার করা সুন্নত। প্রিয় নবী (.) প্রায় সময় পানি ও খেজুর দিয়ে সাদামাটাভাবে ইফতার করতেন। তাজা খেজুর, শুকনা খেজুর আর যদি তাও না পেতেন কয়েক ঢোক পানি পান করে ইফতার করতেন মহানবী (.)। তিনি বলেন-‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে। খেজুর না পেলে পানি দ্বারা, নিশ্চয়ই পানি পবিত্র। (তিরমিজি ও আবু দাউদ শরিফ)

রোজাদারকে ইফতার করানো অতীব পুণ্যময় আমল। এতে অশেষ পুণ্য অর্র্জিত হয়। প্রিয় নবী (.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। সে জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভ করবে এবং রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে।’ প্রিয় নবীজীর (.) সহচর সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন-‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ()! আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সুযোগ ও সামর্থ্য নেই।’ তখন প্রিয়নবী (.) বললেন, ‘এক পেয়ালা দুধ, একটি খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দ্বারাও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও সেই পরিমাণ সওয়াব পাবে।’ প্রিয় নবীর (.) এই নির্দেশনা থেকে প্রতীয়মান হলো রোজাদারকে ইফতার করানো কতই না ফজিলতপূর্ণ পুণ্যময় আমল। এই মহিমান্বিত রোজার মাসে ধনী ব্যক্তিরা গরিব অসহায় মানুষের মধ্যে সেহরি ও ইফতার সামগ্রী প্রদানে এগিয়ে আসেন। চারপাশের গরিব দুখী দুস্থ রোজাদারের পাশে দাঁড়ান। এটা ইসলামী দৃষ্টিতে পুণ্যকর্ম। তবে কেবল ধনীদের ঘিরে বাহারি পদের ইফতার মাহফিল আয়োজন না করে সত্যিকার দুস্থ গরিব রোজাদারদের ঘিরে ইফতারের আয়োজনে শামিল হওয়াই অধিকতর শ্রেয়। যা সবার উপলব্ধি করা দরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ঝামেলামুক্ত সেবা দানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধবস্তাবন্দি লাশ মিলল নিখোঁজ আয়নীর