রেলিগেশন থেকে বাঁচার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল মোহামেডান

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের রানার্স আপ ট্রফির পাশাপাশি রেলিগেশন পর্বটাও বেশ জমে উঠেছে। এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি কোন দল রেলিগেটেড হচ্ছে। আগামী মৌসুমে কোন দলের ঠিকানা হচ্ছে প্রথম বিভাগ লিগে সেটা এখনো নির্ধারিত হয়নি। গতকাল ফ্রেন্ডস ক্লবাকে লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে পরাজিত করে

 

প্রিমিয়ার থাকার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও জিইয়ে রেখেছে মোহামেডান। গতকাল নিজেদের মর্যাদা রক্ষার ম্যাচটিতে ফ্রেন্ডস ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচ শেষে মোহামেডানের পয়েন্ট দাড়াল ৮। আর ১০ ম্যাচ শেষে রাইজিং স্টার জুনিয়রের পয়েন্ট ৭। তাদের শেষ ম্যাচটি

শহীদ শাহজাহান সংঘের বিপক্ষে। এই ম্যাচে যদি রাইজিং স্টার জুনিয়র জিতে যায় তাহলে মোহামেডান চলে যাবে রেলিগেশনে। আর যদি রাইজিং স্টার জুনিয়র হেরে যায় তাহলে মোহামেডান টিকে যাবে প্রিমিয়ার লিগে। আর রাইজিং স্টার জুনিয়র চলে যাবে প্রথম বিভাগ লিগে। তাই এখন সে ম্যাচটি পর্যন্ত অপেক্ষা

করতে হচ্ছে কোন দল প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে নেমে যাচ্ছে তা দেখার জণ্য। গতকাল নিজেদের শেষ ম্যাচে দারুণ খেলেছে মোহামেডান। বিশেষ করে ব্যাটে আর বলে দারুণ নৈপূন্য দেখিয়েছে মোহামেডান। যেটা আসলে আরো আগে দেখানো উচিত ছিল।

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা ফ্রেন্ডস ক্লাব উদ্বোধনী জুটিতে সংগ্রহ করে ৩১ রান। ১৭ রান করে ফিরেন ফারদিন খান। এরপর আবদুল্লাহ ওমর এবং শাওন কাজি ফিরেন দ্রুত। তবে আকিব আলী এবং ইকবাল বাহার চেষ্টা করছিলেন দলের ইনিংস বড় করার। ৩৬ রান করে ফিরেন আকিব আলি। আর ২৪ রান করে

ফিরেন ইকবাল বাহার। এরপর আর কোন ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে পারেনি ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষে। ফলে ১৬৭ রানে অল আউট হয় দলটি ৪৬.১ ওভারে। দলের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে সাদমান ২২, মাজহারুল ১৮ রান করেন। মোহামেডানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ইশরাত হোসেন সাব্বির ৩৬ রানে এবং সোহেল ২৪ রানে। ২টি উইকেট নিয়েছেন তৌহিদ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোবারক হোসেন এবং তানভীর সাদাত।

১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা করে মোহামেডানের দুই ওপেনার। মোহাম্মদ শাহজাহান এবং তুহিন মেহেদী মিলে ১৮ ওভারে তুলে নেন ৮০ রান। যদিও ১৬ রান করে ফিরেন তুহিন। তবে দলকে শুরু থেকেই টানতে থাকেন শাহজাহান। কিন্তু নিজের শত রানটা তুলে নিতে পারলেননা শাহজাহান।

দ্বিতীয় উইকেটে ইশতিয়াক হোসেনের সাথে যোগ করেন ৫৯ রান। ইশতিয়াক ফিরেছেন ১৬ রান করে। ১৩৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ৮ রানে আরো দুটি উইকেট হারায় মোহামেডান। উদ্বোধনী ব্যাটার শাহজাহান ফিরেন ১৩৬ বলে ১০টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৮৭ রান করে। আসাদুজ্জামান সাজুর

চতুর্থ শিকার হয়ে ফিনে মোহাম্মদ তানভীরও। শেষ পর্যন্ত ৪১.১ ওভারে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। তানভীর সাদাত ১৩ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ফ্রেন্ডস ক্লাবের আসাদুজ্জামান সাজু ২৭ রানে মোহামেডানের ৪টি উইকেটই তুলে নেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআলো ঝলমলে মঞ্চে ষোড়শ আইপিএলের যাত্রা শুরু
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রের ‘ঋণের ফাঁদের’ অভিযোগ দায়িত্বজ্ঞানহীন : চীন