রাস্তায় থাকা দোকানের বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২২ আগস্ট, ২০২২ at ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

নগরের বিভিন্ন ফুটপাত ও রাস্তা থেকে প্রায় অর্ধতশাধিক অবৈধ স্থাপনা ও দোকানের বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার আন্দরকিল্লা থেকে মোমিন রোড, চেরাগীপাহাড়, জামালখান হয়ে আসকার দীঘি পাড় পর্যন্ত এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সামনে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় রাস্তায় মালামাল রেখে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে চার দোকান মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করে ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী। অভিযানে অংশ নেয়া চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম দৈনিক আজাদীকে বলেন, আন্দরকিল্লা থেকে চেরাগী, জামালখান হয়ে আসকার দীঘি পর্যন্ত ১০ থেকে ১২টি দোকানের বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ করা হয়। এ সব দোকান ফুটপাতে চলে আসে।
এ দিকে মোমিন রোডের ব্যবসায়ী আকবর অভিযোগ করে দৈনিক আজাদীকে বলেন, দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমার দোকান ফুটপাত থেকে অনেক ভেতরে। দোকানের সামনে ফুটপাতের পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। সেখানে মানুষের হাঁটতে কোনো সমস্যা হয় না। এরপরও আমার দোকানসহ আশেপাশে কয়েকটি দোকানের সামনে ভেঙে দিয়েছে। কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে এমন করেছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মো. আবুল হাশেম বলেন, দোকানের যে অংশটুকু ফুটপাতে এসেছে কেবল সে অংশটুকুই আমরা ভেঙে দিয়েছি। ফুটপাত হাঁটার জায়গা। সেখানে দোকানের অংশ বাড়িয়ে ব্যবসা করার সুযোগ নাই। তিনি বলেন, মোমিন রোডে ফুটপাতটি কোনো জায়গায় বড় এবং কোনো জায়গায় ছোট।
এ দিকে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে দেখা গেছে, রাস্তার উপর অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা মোটরসাইকেল ফেলে দেয়া হয়। ভ্যানগাড়িও ভেঙে দেয়া হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের উপর নির্মাণ করা দুটি ফার্মেসি ভেঙে দেয়া হয়। সেখানে খালের উপরেও গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করে খাল দখলমুক্ত করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের উকিল নোটিশ
পরবর্তী নিবন্ধছোটপোলে আগুনে পুড়ল ৬ বসতঘর