রাঙ্গুনিয়ায় বোরো আবাদের প্রস্তুতি চলছে

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ

অনাবৃষ্টিতে গেল আমন মৌসুমে নানা শংকার মাঝেও বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার চলছে বোরো আবাদের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই কিছু জমিতে বোরো আবাদ শুরু হয়েছে এবং কোথাও আবাদের প্রস্তুতি চলছে। তবে বোরোর বীজতলা এখন পরিপুষ্ট। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বোরো আবাদ পরিপূর্ণভাবে শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গেল আমন মৌসুমে রাঙ্গুনিয়ার ১৫ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে। যেখানে ধানে হেক্টর প্রতি ৫.৭ মেট্রিক টন এবং চালে ৩.৭ মেট্রিক টন উৎপাদিত হয়েছে। এবার উপজেলার ৮ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোরো আবাদের জন্য লক্ষ্যে গত ডিসেম্বর থেকেই কোনো কোনো কৃষক আগাম বীজতলা তৈরি করে এখন রোপণ শুরু করে দিয়েছেন। তবে চারার ঘাটতি পূরণে এখনো বীজতলা তৈরির কাজ চলছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডারখ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলে বোরো ধানের বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে বোরো ধান রোপন মৌসুম। এই লক্ষ্যে গুমাইবিলের প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে অনেক কৃষকের বীজতলা পরিপুষ্ট হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ আবার আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকরা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করছেন, কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউ জমির আইল বাঁধছেন, বীজতলা সমান করছেন, কেউবা বীজ বপন করছেন।

গুমাইবিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, বীজতলা ইতোমধ্যে উঠে গেছে। ইতিমধ্যে বোরো আবাদও শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রণোদনা পাওয়া হাইব্রিড জাতের আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে কৃষক। কারণ এই জাতের ধানে ফলন বেশি। প্রণোদনা বীজের বাইরেও কৃষকরা নিজ উদ্যোগে এই বীজ সংগ্রহ করে বীজতলা করেছেন। এছাড়া ব্রি ধান ২৮, ২৯, ৫৮, ৮৯, ৯২, উচ্চ ফলনশীল উফশী জাতসহ বিভিন্ন দেশীয় জাতের বীজতলা তৈরি হয়েছে।

চন্দ্রঘোনা চারাবটতল এলাকার কৃষক মো. আজিম বলেন, চারা মোটামুটি উঠে গেছে। কৃষি অফিসারদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিরোধমূলক কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি।

কাটাখালী এলাকার কৃষক মোকাররম মিয়া জানান, তিনি এবার ৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করবেন। এজন্য ডিসেম্বর থেকে বীজতলা করেছেন। ইতোমধ্যে ৩ হেক্টর জমিতে আবাদ করেছেন। বাকিগুলোতে আবাদ প্রক্রিয়া চলছে। বীজতলা যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী তারা কাজ করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার বলেন, এবার যথাসময়ে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বীজতলার চারা পরিপুষ্ট হয়ে গেছে। গেল মৌসুমে রাঙ্গুনিয়ায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা ভাল দামও পেয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা ছাড়াই কৃষকরা বোরো আবাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি এবারও ভালো ফলন হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে ৪৪২ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ
পরবর্তী নিবন্ধসরস্বতী পূজা আজ