রাঙ্গুনিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকান ও ৬টি বসতঘর পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের মাইজপাড়া বালুগোট্টা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাঙ্গুনিয়ার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ছে বসতঘর ও দোকান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও সাধারণ মানুষ আগুন নিভাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মরিয়মনগর ব্যাংক এলাকা থেকে ঘটনাস্থলে আসার সড়ক ছোট হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এসময় মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু বলেন, “সকালের দিকে একটি চায়ের দোকানের গ্যাসের চুলা থেকে আগুন ধরে মুহূর্তে তা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে ৮টি দোকান ও ৬টি বসতঘর পুড়ে যায়।
তিনি বলেন, “এ আগুনে আবদুল জলিলের বসতঘর ও একটি চায়ের দোকান, মো. সাদেকের ফলের দোকান, মো. রফিকর চাউলের দোকান, মো. রকির মালিকানাধীন দোকানসহ চাউল-হলুদ-মরিচ-মশলা ভাঙানোর মেশিন, মো. জলিল সওদাগরের ফলের দোকান, মো. সাজ্জাদের ফার্নিচারের দোকান, রেজাউল করিম ও মো. ইসমাইলের চা দোকান। এছাড়া আবদুল মালেক, আবদুল কাদের, ইউসুফ মাঝি, আবদুল সফুর ও মোহাম্মদ মুছার বসতঘর পুড়ে যায়।”
ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা মো. জাহেদুর রহমান বলেন, “আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।”
