রাঙ্গুনিয়ায় আউশ ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১৯ আগস্ট, ২০২৩ at ৯:২১ পূর্বাহ্ণ

আর ১৫/২০ দিন পরেই কৃষকের ঘর উঠবে আউশ ধান। সম্প্রতি ভারী বর্ষণে রাঙ্গুনিয়ার অনেক অংশ ডুবে গেলেও আউশের কোনো ক্ষতি হয়নি। উপজেলায় কয়েক বছর ধরে আউশ ধানের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। দুই ফসলী জমি থেকে এখন বছরে তিনবার ধান উৎপাদিত হচ্ছে। কম খরচ ও অল্প শ্রমে ভাল ফলন পাওয়ায় আউশ চাষাবাদের প্রতি কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

আউশ শব্দের অর্থ আগাম। বাংলা আশু শব্দ থেকে আউশ শব্দের উৎপত্তি। আউশ মানে আশু ধান। আশি থেকে ১২০ দিনের ভেতর এ ধান ঘরে তোলা যায়। আউশে আমনবোরোর মতো যত্ন নিলে বাম্পার ফলন হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসে একটু বৃষ্টি পেলেই আউশের জমি সবুজ ধানে ভরে যায়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আউশ ধান চৈত্রবৈশাখে বুনে আষাঢ়শ্রাবণে কাটা যায়। বোরো ধান কাটার ২০ থেকে ২৫ দিন আগে আউশ বীজতলা তৈরি করতে হয় এবং বোরো ধান কাটার সাথে সাথেই রোপণ করতে হয়। আবার আউশ ধান কাটার সাথে সাথেই আমন ধান রোপণ করতে হয়। এতে করে একটি জমিতে তিন মৌসুমের ধান উৎপাদন করা হয়। ফলে একই জমিতে ফসলের উৎপাদন অনেক গুণ বেড়ে যায়।

অনেক আগে থেকেই রাঙ্গুনিয়ায় আউশের আবাদ চলে এলেও মাঝখানে তা অনেকটা কমে আসে। তবে গেল ৪/৫ বছর ধরে আবারও পুরোদমে আউশের আবাদ শুরু হয়েছে। গত বছর উপজেলার ৮২ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছিলো। কিন্তু এবছর বৃষ্টি কম হওয়ায় উপজেলার ৭০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৪ থেকে ৫ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।

বেতাগী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাজাহান জানান, বেতাগীর ৮ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। বেতাগীর সিকদার পাড়া এবং বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এবারই প্রথম আউশ ধান চাষাবাদ হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, আউশের উৎপাদন বাড়াতে বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এবারো রাঙ্গুনিয়ার ৫০০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়েছে। আউশ চাষাবাদ অনেকটা বৃষ্টির উপর নির্ভর করে। কিন্তু এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় আউশের আবাদ কিছুটা কম হলেও এই চাষাবাদের প্রতি কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙামাটিতে নির্মিত হচ্ছে জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা
পরবর্তী নিবন্ধডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে