রাঙ্গুনিয়ায় নদী ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ সৈয়দ আলী সড়ক

সড়ক ধসে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা, দুর্ভোগে পড়বে হাজারো যাত্রী

জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া | শুক্রবার , ৬ জুন, ২০২৫ at ৪:১৮ অপরাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার চার ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম হাজী সৈয়দ আলী সড়ক। এই সড়কের শিলক ইউনিয়নের ব্যুচক্র হাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সড়কের পাশ ঘেঁষে ভেঙে গেছে তীর। সড়কের নিচ থেকে সরে যাচ্ছে মাটি। এর উপর দিয়ে চলছে যানবাহন। যেকোনো সময় সড়ক ধসে পড়ে দুর্ঘটনাসহ শিলক-কোদালার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এটি জরুরী সংস্কারের আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, এই সড়কটি গোডাউন ব্রীজ দিয়ে সরফভাটা, শিলক, কোদালা হয়ে কোদালা চা বাগান, রাজস্থলী কিংবা বান্দরবান যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। এসব ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্যেও এটি প্রধান যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই সড়কের শিলক ব্যুচক্র হাট বাজারের পূর্ব পাশে পোস্ট মাস্টার সিদুল বাড়ির কাছে সড়কের একপাশে ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ভারী বর্ষণে কর্ণফুলী নদীর ভাঙনে ইতিমধ্যেই তীর ভেঙে সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে যেতে শুরু করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত আলী বলেন, “এটি এলজিইডি’র অধীন একটি সড়ক। সড়কটি ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছি। ঝুঁকিপূর্ণ অংশের দুই পাশে ভাঙন প্রতিরোধক ব্লক থাকলেও এই স্থানে না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এটির উপর দিয়েই প্রতিদিন ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করছে। আমরা নিজ উদ্যোগে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছি এবং ফিতা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাশে চিহ্নিত করে দিয়েছি। দ্রুত সংস্কার ব্যবস্থা করা না হলে যেকোনো সময় সড়ক ধসে গিয়ে দুর্ঘটনাসহ এতদ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যেতে পারে।”

এই বিষয়ে স্থানীয় শিলক ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. নুরুন্নবী বলেন, দ্রুত এটি সংস্কার করতে হবে। যেকোনো সময় সড়ক ধসে গিয়ে শিলক-কোদালা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে। গত বছরও একইভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। আমরা উর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগ করলেও সংস্কার করা হয়নি। এবার যেনো অতিদ্রুত এটি সংস্কার করা হয়, এমনটাই দাবী জানান তিনি।

এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম বলেন, “গত বর্ষা থেকেই এমন অবস্থা হয়েছে। সড়কের অপর পাশের ঘরবাড়ির পানির পাইপ এই সড়কের নিচ দিয়ে ছোট পাইপ দিয়ে ফেলার কারণও এমন অবস্থার জন্য অনেকটা দায়ী। তারপরও নদীর পাড়টা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিষয়। তাদের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি, যাতে এটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়।”

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে জানার পর জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার কাজ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।

এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। সংস্কারের ব্যাপারে জরুরী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিখোঁজের ৪ ঘন্টা পর ফটিকছড়িতে সেই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় গরুর বাজারে শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা করলো মেয়ের জামাই