রপ্তানিমুখী শিল্প ও নতুন আয়ের উৎস জরুরি

ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী | মঙ্গলবার , ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ at ১১:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রিয় লাল সবুজের বাংলাদেশ এর জন্য একটা বড় আশা জাগানিয়া বিষয়। এক যুবক শহরে তার লাখ টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফিরে গিয়েছে। আজ সেই উদ্যোগী যুবকের কথা লিখছি। আমাদের পরিবারের প্রিয় চুনতির কৃতিসন্তান মোহাম্মদ কায়ছার খান ছিদ্দিকী। সে জৈব সার তৈরির যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। চুনতি নিজ গ্রামে জৈব সার উৎপাদন কারখানা স্থাপন এবং সারাদেশে অর্গানিক সার বিক্রি করছে। এতে কায়সার খান গ্রামে ওর নিজের কর্মসংস্থান এবং আরো অনেকের আয়ের পথ সৃষ্টি করেছেন। সারাদেশে আশার সঞ্চার করছে এরকম অনেক যুবক। চাকরি নয় উদ্যোক্তা হোন। করোনাকালীন দুর্যোগ মহামারীর সময়ে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। কারো কারো ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। আবার কেউ কেউ বাধ্যতামূলক অবসর নিয়েছেন। আবার নতুন করে সবাই চাকরি খুঁজছে? এবং প্রায় প্রতি জনেই সর্বোচ্চ ডিগ্রি মানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছে।

অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ অনেকের চাকরি, ব্যবসা বাণিজ্য বা আয় রোজগার এর পথ বন্ধ। আমাদের অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট উন্নয়নের সাথে সাথে দ্রুত নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে হবে। উৎপাদনমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্বের বাজারে পোশাক রপ্তানির সাথে আরো বেশ কিছু নতুন পণ্যের রপ্তানির বাজার তৈরি করা অতীব জরুরি। নতুবা এ সমস্যা আরো গভীর হবে। কারিগরি শিক্ষা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও এখনও এই খাতে দক্ষ জনশত্তির অভাব রয়েছে। এই কারণে আমাদের দেশে বিদেশী প্রতিষ্ঠানে তো বটে, এমনকি দেশীয় প্রতিষ্ঠানেও সর্বোচ্চ পদে বিদেশীরা বহাল তবিয়তে এখনও চাকরি করছেন। কিন্তু আমাদের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে দেশের হাজারো ছেলে মেয়ে বেকার। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানব সম্পদে পরিনত করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা সময়ের দাবি।

মানব সম্পদ উন্নয়নের অন্যতম উপায়। বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি, বাস্তব কাজে লাগে এমন হাতে কলমে শিক্ষা নিতে হবে। শুধু দেশে নয়, বিদেশের বাজারে আমাদের দক্ষ জনশক্তির বেশ কদর রয়েছে। সুখবর হলো সরকার কিছুটা দেরীতে হলেও এখন বেশ তৎপর ও বাস্তব ভিত্তিক কাজ শুরু করেছে। আরো বেশি বেশি করে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ করে গ্রামে দক্ষ জনশক্তি গড়ার কারিগরি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা যারা সচেতন নাগরিক, আসুন সরকারের চলমান উন্নয়নের সাথে সাথে প্রিয় দেশের সুন্দর আগামি গড়ার জন্য সবাই একসাথে কাজ করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রেনের ছাদে চড়া থেকে বিরত থাকুন
পরবর্তী নিবন্ধথটস অব মোমেন্ট