ইউক্রেনের ভেতরে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনা। সেখানে যুদ্ধ চলছে। তারা রাজধানী কিয়েভ দখলের পথে, এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও যুক্তরাষ্ট্র সেখানে সেনা পাঠানোর কথা বলছে না। বাইডেন যে সেনা পাঠাবেন না সে বিষয়টিও মোটামুটি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু ইউক্রেনে কেন সেনা পাঠাবেন না বাইডেন? কারণ কী? ১. কোনো জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ নেই : আমেরিকার প্রতিবেশী কিংবা ধারে-কাছের কোনো দেশ নয় ইউক্রেন। সেখানে কোনো মার্কিন সামরিক ঘাঁটিও নেই। তাদের বিশাল তেলের মজুদও নেই। তারা বড় কোনো বাণিজ্যিক অংশীদারও নয়। ২. সামরিক হস্তক্ষেপের নীতিতে আর বিশ্বাসী নন বাইডেন : বাইডেন তার দীর্ঘ পথচলায় দেখেছেন, সামরিক হস্তক্ষেপ কোনো সমাধান নয়। এর আগে তিনি যেসব সামরিক হস্তক্ষেপ সমর্থন করেছিলেন, সেগুলোতে আমেরিকার কোনো লাভ হয়নি বরং দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৯০- এর দশকে বলকান অঞ্চলে জাতিগত যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ তিনি সমর্থন করেছিলেন। এরপর ২০০৩ সালে ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও তিনি সমর্থন দিয়েছিলেন। কিন্তু ফল ভালো হয়নি। তারপর থেকেই তিনি মূলত সামরিক শক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। ওবামার সময় লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে তিনি বিরোধিতা করেছিলেন। আফগানিস্তানের বিষয়েও তার সিদ্ধান্ত ছিল একই। সে কারণে তিনি ক্ষমতায় এসে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেন। ৩. আমেরিকানরাও আর যুদ্ধের পক্ষে নয় : সম্প্রতি এক জরিপে (এপি-এনওআরসি পরিচালিত) দেখা গেছে, ৭২ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন ইউক্রেন সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকাই নেয়া উচিৎ নয়। তারা নিজেদের পকেটের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। বাইডেনকে বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে, কারণ সামনে মধ্যবর্তী নির্বাচন।