যেকোনো মহামারিতে চট্টগ্রামের জিনোম গবেষণা করবে চবি

গবেষণাগার উদ্বোধন

চবি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৪ মে, ২০২২ at ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে জিনোম গবেষণার আন্তর্জাতিক যৌথ গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। এতে ৭টি নতুন জীববিজ্ঞান গবেষণাগার নিয়ে বায়োটেকনোলজি রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার এবং ঢাকার চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও সুইজারল্যান্ডের ফাইন্ড ডায়াগনস্টিকের সহায়তায় নেঙট জেনারেশন সিকুয়েন্সিং রিসার্চ এন্ড ইনভেশন ল্যাব চিটাগাং। গতকাল সোমবার চবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে ল্যাবটি উদ্বোধন করা হয়েছে।

উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। গেস্ট অব অনার ছিলেন অণুজীববিজ্ঞানী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা ড. সেঁজুতি সাহা। বায়োটেকনোলজি রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টারের আওতায় জিন ও প্রোটিন গবেষণা ল্যাব, অণুজীব গবেষণা ল্যাব, রোগতত্ত্ব গবেষণা ল্যাব, ফার্মাসিউটিকাল গবেষণা ল্যাব, ক্যান্সার গবেষণা ল্যাব, পরিবেশ ও দৈহিক বৃদ্ধি গবেষণা ল্যাব এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল বায়োটেকনোলজি গবেষনাগার রয়েছে।

এছাড়া নেক্সট জেনারেশন সিকুয়েন্সিং রিসার্চ এন্ড ইনভেশন ল্যাব চিটাগাং মূলত চট্টগ্রামের সকল প্রকারের অণুজীব, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জিনোম বিন্যাস উন্মোচনের কাজ করবে। এই গবেষণাগারের ফলে চট্টগ্রামে যে কোন মহামারীতে বাইরের সাহায্য ছাড়াই জিনোম গবেষণা সম্ভব হবে এবং বিভিন্ন রকম অণুজীবের সংক্রমণ, পরিবর্তন ও রূপ প্রকৃতির কারণ নিয়ে গবেষণা সহজতর হবে।জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের সভাপতি ড. নাজনীন নাহার ইসলামের সভাপতিত্বে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নানের সঞ্চালনায় উপাচার্য বলেন, জ্ঞান-গবেষণার অন্যতম চারনভূমি হল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীন ও নবীন গবেষকরা তাদের গবেষণা কর্মের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে স্বনামধন্য হয়েছেন। পাশাপাশি তাদের গবেষণার মাধ্যমে দেশ-জাতি তথা সারা বিশ্বে উপকৃত হয়েছে। গেস্ট অব অনার ড. সেঁজুতি সাহা বলেন, আমরা সবাই জানি সংক্রামক রোগের জন্য জিনোম সিকুয়েন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোন সংক্রামক ব্যাকটেরিয়ার জন্য আমাদের বুঝতে হবে। কি জীবাণু দিয়ে রোগগুলো হচ্ছে জীবাণুগুলোকে বুঝতে হবে। আমরা যদি জীবাণুগুলো বুঝি তাহলে রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারব।পরবর্তীতে সঠিক ভ্যাকসিন আনতে পারব। যদি পুরো দেশে জিনোম সিকুয়েন্স করতে হয় তাহলে খুবই জরুরি আমাদের নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ট্রেনিং দিয়ে বের করা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, প্রফেসর ড. মো. তৌহিদ হোসেন, চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এম.এ. সাত্তার, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের (বিসিএসআইআর) পরিচালক ড. গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল- ফোরকান, প্রফেসর ড. লুলু ওয়াল মারজান, প্রফেসর ড. এস এম রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এ এম আবু আহমেদ ও সহযোগী অধ্যাপক এ এম মাসুদুল আজাদ চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএমপি কমিশনারের কাছে আনোয়ারা জাকারিয়া এতিমখানার হিসাব হস্তান্তর
পরবর্তী নিবন্ধফ্রোবেল একাডেমিতে কালচারাল ড্রেসআপ কম্পিটিশন