যুবলীগকে ‘চাঙা’ করতে আসছে কেন্দ্রীয় টিম

মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার বর্ধিত সভা ২৮-৩০ নভেম্বর

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

ঝিমিয়ে পড়া যুবলীগকে চাঙা করতে তিন দিনের সফরে চট্টগ্রাম আসছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের বিভাগীয় টিমের নেতারা। সংগঠনকে চাঙা রাখতে কেন্দ্রের বিভাগীয় টিম দেশব্যাপী সফর করছে। বিভিন্ন জেলায় বর্ধিত সভাও করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সংগঠন গোছাতে কেন্দ্রীয় নেতারা আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন। এই লক্ষ্যে ২৮ নভেম্বর আসছেন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈমসহ চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ।
২৮ নভেম্বর দুপুর ২টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা হবে বলে জানান দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী। তিনি জানান, বর্ধিত সভায় জেলা কমিটির পাশাপাশি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক এবং পৌরসভা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত থাকবেন।
২৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে উত্তর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলম।
মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু আজাদীকে জানান, আমরা ৩০ নভেম্বর বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পর ইতোমধ্যে তিন পার্বত্য জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা করেছেন। প্রতিটি সভায় ছিল উৎসাহ-উদ্দীপনা।
এদিকে চট্টগ্রামে (মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা) যুবলীগের দীর্ঘদিন নতুন কমিটি না হওয়ায় তৃণমূলে ক্ষোভ বাড়ছে। দুর্বল হয়ে পড়েছে সাংগঠনিক অবস্থাও। যারা নতুন নেতৃত্বে আসতে চান, বছরের পর বছর অপেক্ষা করে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১৩ জুলাই মহিউদ্দিন বাচ্চুকে আহ্বায়ক ও দেলোয়ার হোসেন খোকা, দিদারুল আলম, ফরিদ মাহমুদ ও মাহবুবুল হক সুমনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে তিন মাসের জন্য ১০১ সদস্যের মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির সাড়ে ৮ বছর চলছে। এই সময়ে সম্মেলন বা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি মহানগর যুবলীগ। ফলে বেড়েছে দ্বন্দ্ব-বিভক্তি। দুর্বল হয়ে পড়েছে সংগঠনের সাংগঠনিক অবস্থা।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়, ৮ বছরে নগরীর ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৫টিতে সম্মেলন করতে পেরেছে। সেগুলো নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। বাকি ওয়ার্ডগুলোর সম্মেলন করতে পারেনি। বাস্তবায়িত হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কেন্দ্রের নির্দেশনা। নতুন কমিটি না হওয়ায় বাড়ছে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। এ সময়ে যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব যেমন গড়ে উঠেনি, তেমনি সাংগঠনিক কার্যক্রমও ঝিমিয়ে পড়েছে। নতুন নেতৃত্ব আশাহত হয়ে পড়েছেন।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নগর যুবলীগের শীর্ষ পদধারীদের মধ্যে অনেকে এখন আর যুবলীগ করতে চান না। আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে। যার কারণে মহানগর যুবলীগের চাঙ্গা ভাব এখন আর নেই। বেড়েছে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব। বছরের পর বছর সম্মেলন না হওয়া এবং নতুন কমিটি না হওয়ায় তৃণমূলে বাড়ছে ক্ষোভ।
আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরীকে সভাপতি ও পার্থ সারথী চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সর্বশেষ কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১০ সালে। এর বর্তমান বয়স চলছে ১১ বছর। এই সময়ে একটি কমিটি নেতৃত্বে থাকায় তৃণমূল থেকে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি। নেতৃত্বের জন্য যারা বছরের পর বছর অপেক্ষায় আছেন তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এদিকে ২০১২ সালে সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুনকে সভাপতি ও হাটহাজারীর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে উত্তর জেলা যুবলীগের কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এই কমিটির সভাপতি এস এম আল মামুন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসড়কে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ, গুরুতর আহত মা
পরবর্তী নিবন্ধশাহ আমানতে চার কেজি স্বর্ণ উদ্ধার