যুগপৎ আন্দোলনে নামবে বিএনপি ও গণসংহতি

| বুধবার , ১ জুন, ২০২২ at ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে যুগপৎভাবে আন্দোলন চালাবে বিএনপি ও গণসংহতি আন্দোলন। গতকাল মঙ্গলবার নিজেদের সংলাপের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। আর সাকি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছি যে, যুগপৎ ধারায় আন্দোলন যার যার অবস্থান থেকে পরিচালনা করতে হবে। যুগপৎ অর্থ তারা জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করবে না, তবে একই লক্ষ্য অর্জনে তারা কর্মসূচি আলাদাভাবে পালন করলেও তাতে সমন্বয় থাকবে। বিএনপি ২০ দলীয় জোটে রয়েছে, যেখানে তাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ইসলামী দল রয়েছে। আবার গণফোরামসহ ভিন্ন কয়েকটি দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও গড়ে তারা, যদিও তা এখন নিষ্ক্রিয়। খবর বিডিনিউজের।

বাম গণতান্ত্রিক জোট ছেড়ে আসা জোনায়েদ সাকির দল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থাকা আ স ম রবের জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তার মধ্যেই গতকাল বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করল গণসংহতি, যে বৈঠকটি হয়েছে ঢাকার হাতিরপুলে বাম দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।

যুগপৎ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ভয়াবহ যে ফ্যাসিবাদী সরকার, যারা আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধবংস করে দিচ্ছে, তাদেরকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা একমত হয়েছি। যে বিষয়গুলোতে আমরা একমত হয়েছি, তা হচ্ছে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে, তাদের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, তাদের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই ভবিষ্যতে পার্লামেন্ট ও সরকার গঠিত হবে। জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা মনে করি, বর্তমান সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন দরকার এবং এইভাবে যদি একটা জাতীয় রূপরেখা আজকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে থেকে হাজির হয়, জনগণ নতুন করে আন্দোলিত হবে। একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারবে।

আলোচনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপন। গণসংহতির ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে সাকির সঙ্গে ছিলেন আবুল হাসান রুবেল, তাসলিমা আখতার, মুনির উদ্দিন পাপ্পু, হাসান মারুফ রুমি, ইমরাদ জুলকারনাঈন, বাচ্চু ভুঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক রায়, মিজানুর রহমান, আলিফ দেওয়ান।

সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব : আওয়ামী লীগ বর্তমান সংবিধানে ভর করে ‘ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে’ দাবি করে জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সাংবিধানিক ক্ষমতা কাঠামোর বদল দরকার। সেজন্য আমরা সাংবিধান সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কতগুলো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছি। যেমন আমরা মনে করি, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে হবে, নিম্ন আদালতকে উচ্চ আদালতের অধীনস্ত করতে হবে সমস্ত দিক থেকে। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি করতে হবে এবং কোনোভাবেই জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা যাবে না। আমরা এমন সাতটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর
পরবর্তী নিবন্ধধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ