আদালতের তল্লাশী চৌকিতে জেএমবির বোমা হামলায় পুলিশ সদস্যসহ দুইজনের মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবর আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। এর আগে গত রোববার ও সোমবার আসামি পক্ষ ও রাষ্ট্র পক্ষ আদালতের কাছে তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌসূলি মনোরঞ্জন দাশ আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত রোববার আমরা প্রথম আদালতের কাছে আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করি। পরদিন সোমবার তা শেষ করি। সোমবার আমাদের পর আসামি পক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। গতকাল আমরা তাদের উপস্থাপিত যুক্তিতর্কের বিরুদ্ধে অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানি করি এবং শেষ করি। আদালত আগামী ৩ অক্টোবর রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
তিনি বলেন, গতকালের অধিকতর শুনানিতে আমরা আদালতের কাছে আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছি।
আদালত সূত্র জানায়, আদালতে বোমা হামলা মামলায় গত ৯ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ৭৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ মে জাবেদ ইকবালসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। আদালত চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর মধ্যে অন্য একটি মামলায় আবদুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান নামের তিন আসামির ফাঁসির আদেশ হওয়ায় তাদের এ মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়। অপর দুই আসামির মধ্যে মোহাম্মদ প্রকাশ আমান প্রকাশ জাবেদ ইকবাল চট্টগ্রাম কারাগারে এবং অপরজন জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ বোমারু মিজান পলাতক।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহ আদালতে নেয়ার পথে ত্রিশাল এলাকায় প্রিজন ভ্যানে গুলি ও বোমা ছুঁড়ে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। ওই তিনজনের একজন হলেন জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ বোমারু মিজান।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তল্লাশি চৌকির সামনে বোমা হামলা চালায় জেএমবির সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী মো. শাহাবুদ্দীন। আহত হন পুলিশ কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন।
