বাকলিয়ায় এক ছাত্রীকে অপহরণ এবং ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. কামরুল মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–৭, চট্টগ্রাম। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম নগরীর বাকলিয়া এলাকায় একটি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। ভিকটিম যখন প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল তখন আসামি মো. কামরুল মোস্তাফাও তাদের স্কুলে এইচএসসিতে পড়ত। তখন ভিকটিমের সাথে কামরুলের পরিচয় হয় এবং ভিকটিম আসামিকে ভাইয়া বলে ডাকত। আসামি কামরুল শিশু ভিকটিমের সাথে বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক করে ভিকটিমকে প্রায় সময় তাদের বাসায় নিয়ে যেত। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিকাল আনুমানিক চারটার দিকে কামরুল শিশু ভিকটিকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে কঙবাজার নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ওই বছর ৫ আগস্ট ভিকটিমকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক উপর্যপুরি ধর্ষণ করে। পরদিন ৬ আগস্ট আসামি কামরুল ভিকটিমকে নিয়ে কঙবাজার থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে কর্ণফুলী এলাকা থেকে ভিকটিমের বাবা এবং মামা ভিকটিমকে উদ্ধার করেন এবং আসামিকে থানায় সোর্পদ করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে নগরীর বাকলিয়া থানায় আসামি কামরুলের বিরুদ্ধে নগরীর বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং–০৫ (৮) ১৪। মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি কামরুল জামিনে বের হয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে আসামি কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০,০০০ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব–৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কামরুলকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব–৭ গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, কামরুল নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শেরশাহ এলাকায় আত্মগোপনে আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব–৭, চট্টগ্রামের একটি দল গত ৬ জুন বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি কামরুল মোস্তফাকে (৩০) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।