বাংলাদেশে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে সব শ্রেণি পেশায় মানুষ এখন মোবাইল সিম ব্যবহার করে। নানা প্রয়োজনের তাগিদে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইলে রিচার্জ করতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে রিচার্জের সর্বনিম্ন সীমা বাড়িয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। এখন থেকে গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ৩০ টাকা রিচার্জ করতে হবে। এর আগে, সর্বনিম্ন সীমা ছিল ২০ টাকা। দেশের মুঠোফোন অপারেটর রবি তাদের সর্বনিম্ন রিচার্জের সীমা ঠিক করেছে ২০ টাকা। এর আগে জিপি, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংকে সর্বনিম্ন ১০ টাকা রিচার্জ করা যেত।
নিম্ন আয়ের মানুষের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক জরুরি সময়ে এমন রিচার্জ সীমার জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অপ্রয়োজনেও বাধ্য হয়ে সর্বনিম্ন সীমায় রিচার্জ করতে হয়। এর উপরে আবার থাকছে টাকার মেয়াদ সীমাবদ্ধতা। নিজ অর্থে এমন সব সীমা বা বাধ্যবাধকতা কতটা যৌক্তিক তা ভেবে দেখা দরকার। নাগরিকদের বিষয় চিন্তা করে এমন সীমা প্রত্যাহারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এমনিতেও সিম কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের বিস্তর অভিযোগ, দিন দিন তারা জনসাধারণকে জিম্মি করে ফেলছে। এমন সীমা বৃদ্ধি করা গ্রাহকদের উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার শামিল। এমতাবস্থায় রিচার্জের সর্বনিম্ন সীমা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর জরুরি পদক্ষেপ কামনা করছি।
মো. খালেদ সাইফুল্লাহ
শিক্ষার্থী,
আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।