মেধার জোরেই টিকে থাকুক আমাদের তরুণরা

শেখ বিবি কাউছার | বুধবার , ১০ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

বর্তমান যুগ হল বিশ্বায়নের যুগ। তাই বর্তমান পৃথিবীর প্রতিযোগিতাটাও হবে আন্তর্জাতিক। আগে আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা দিতে হতো নিজের দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে, কিন্তু ভবিষ্যতে এমন সময় আসছে, তাদের প্রতিযোগিতা দিতে হবে এমআইটি, হার্ভার্ড কিংবা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে সেভাবেই। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অর্থ নয় বরং মেধার জোরেই টিকে থাকতে হবে। যে সময়টাতে তরুণদের ব্যস্ত থাকার কথা লেখাপড়া, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, নানা গবেষণামূলক কাজে। অথচ আমরা স্কুল থেকেই তাদের ঠেলে দিচ্ছি রাজনীতির দিকে, স্কুল, কলেজ সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। তাই এর প্রভাব পড়ছে তাদের ব্যক্তি জীবনে। ১৮ থেকে ৩০ হলো গড়ার বয়স, চ্যালেঞ্জ নেওয়ার বয়স, নিজেকে পরখ করার বয়স। সামনে এমন এক সময় আসছে তাদের দেশের চ্যালেঞ্জ নেয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক বা গ্লোবাল চ্যালেঞ্জও নিতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশটা পৃথিবীর বুকে দাঁড়াবে কাদের নিয়ে? নিজেকে আবিষ্কারের চেষ্টা করতে হবে। আমাদের দেশের জন্য অনেক গবেষক, উদ্ভাবক প্রয়োজন। আমাদের বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা যদি বিসিএস পরীক্ষাকেই সবকিছু মনে করে তাহলে আমরা বিজ্ঞানী ও গবেষক পাব কোথায়?
মানুষের জীবনে নানান রকম বাধা আসে এবং আসবে। প্রত্যেক মানুষের কিছু সীমাবদ্ধতাও থাকে। কিন্তু সীমাবদ্ধতার মাঝেও তোমাদের চলতে হবে। সীমাবদ্ধতার দোহাই দিয়ে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়টা নষ্ট করে ফেল না। তোমাদের যখন টিকটক, লাইকি ফানি ভিডিও এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখি তখন একজন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়। মনে মনে চিন্তা করি তোমাদের এই কেমন শিক্ষা দিচ্ছি আমরা। তোমাদেরকে কি আমরা আনন্দদায়ক শিক্ষা দিতে পারছি? মানুষ বড়ই বিচিত্র। আমরা শুধু বিজয়ীর কথা শুনতে চায়। তোমার কী নেই, সেটা শুনতে কারও সময় নেই। যা নেই, তা নিয়ে চিন্তা না করে বরং যার যা আছে তাই নিয়ে নেমে পড়ো জীবন সংগ্রামে। বর্তমান জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে হলে, প্রস্তুতিটাও হতে হবে কঠিন ও মজবুত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে চাই কার্যকর পদক্ষেপ
পরবর্তী নিবন্ধদুরের টানে বাহির পানে